Skip to main content

Posts

Showing posts from October, 2015

ফরজ নামাজ পরবর্তী জিকির ও দোয়াসমূহ

ফরজ নামাজের পরে বিভিন্ন জিকির ও দোয়া-দরুদ পাঠ করা মোস্তাহাব। আলেমদের অভিমত হলো, দোয়া কবুলের গুরুত্বপূর্ণ সময় এটা। তাই ফরজ নামাজের সালাম ফিরানো মাত্রই জিকির ও দোয়া না করে উঠে পড়া, দাঁড়িয়ে নামাজ পরবর্তী সুন্নত শুরু করা কিংবা চলে যাওয়া অনুচিৎ। আবার অনেককে দেখা যায়, ফরজ নামাজের পর অমনোযোগিতা ও অবহেলার সঙ্গে দোয়া করে থাকে। এমন আচরণ চরম ধৃষ্ঠতা ও বেয়াদবি। বরং ফরজ নামাজের পর মনোযোগের সঙ্গে জিকির ও দোয়া করে নিজের দুনিয়া ও আখেরাতকে সুন্দর করা উচিৎ।  অনেক হাদিসে এ সময় জিকির ও দোয়া করার গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। আবার অনেক হাদিসে শিখানো হয়েছে ফরজ নামাজের পর কোন কোন জিকির ও দোয়া করতে হবে।  একদা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন দোয়া কবুলের অধিক সম্ভাবনা রাখে? তিনি ইরশাদ করলেন, গভীর রাতের দোয়া আর ফরজ নামাজ পরবর্তী দোয়া। -সহিহ তিরমিজি: ৩৪৯৯ বর্ণিত হাদিসের প্রেক্ষিতে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর নিম্নবর্ণিত দোয়াসমূহ পাঠ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ইসলামি স্কলাররা।  এক. أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চ

'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর শর্তসমূহ

প্রথম শর্ত: এই কালিমা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা فَٱعْلَمْ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّهُ وَٱسْتَغْفِرْ لِذَنۢبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَٱلْمُؤْمِنَٰتِ ۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ مُتَقَلَّبَكُمْ وَمَثْوَىٰكُمْ ۝ জেনে রাখুন, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ক্ষমাপ্রার্থনা করুন, আপনার ক্রটির জন্যে এবং মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্যে। আল্লাহ, তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত। Muhammad 47:19  وَلَا يَمْلِكُ ٱلَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِهِ ٱلشَّفَٰعَةَ إِلَّا مَن شَهِدَ بِٱلْحَقِّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ ۝ আর তাঁকে বাদ দিয়ে তারা যাদের ডাকে তাদের কোনো ক্ষমতা নেই সুপারিশ করার, তিনি ব্যতীত যিনি সত্যের সাথে সাক্ষ্য দেন, আর তারা জানে। Az-Zukhruf 43:86  দ্বিতীয় শর্ত: দৃঢ় প্রত্যয় إِنَّمَا ٱلْمُؤْمِنُونَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ۚ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلصَّٰدِقُونَ ۝ তারাই মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে প্

আন্‌-নওয়াবীর চল্লিশ হাদীস

আন্‌-নওয়াবীর চল্লিশ হাদীস হাদীস – ১ আমীরুল মুমিনীন আবু হাফস্ উমার ইবন আল-খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন— আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি— “সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়্যতের উপর, আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়্যত করেছে, তাই পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকে হয়েছে, আর যার হিজরত দুনিয়া (পার্থিব বস্তু) আহরণ করার জন্য অথবা মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তার হিজরত সে জন্য বিবেচিত হবে যে জন্য সে হিজরত করেছে।” [সহীহ্ আল-বুখারী: ১, সহীহ্ মুসলিম: ১৯০৭। মুহাদ্দিসগণের দুই ইমাম আবু আব্দুল্লাহ্ মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল ইবন ইব্রাহীম ইবন মুগীরা ইবন বারদেযবাহ্ আল-বুখারী এবং আবুল হাসান মুসলিম ইবন হাজ্জাজ ইবন মুসলিম আল-কুশায়রী আন্-নিশাপুরী আপন আপন সহীহ্ গ্রন্থে উল্লেখিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। যা সবচেয়ে সহীহ্ গ্রন্থদ্বয় বলে বিবেচিত হয়।] হাদীস – ২ এটাও উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বস

হাঁস মুরগির খাদ্য তৈরি

হাঁস মুরগির খাদ্য তৈরি: বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে হাঁস-মুরগি পালন শুরু হয়েছে। বর্তমানে হাঁস-মুরগির খামার (পোল্ট্রি ফিড) বেশ লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। আবার হাঁস-মুরগির খাবার তৈরি করে এসব খামারে সরবরাহ করাও বেশ লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। আমাদের দেশে পোলট্রি ফার্মের প্রধান সমস্যা হচ্ছে মুরগির রোগবালাই এবং সুষম খাদ্যের অভাব। বাজারে বিক্রির জন্য চালের খুদ, গমের ভূষি, চালের কুড়া, খৈল ইত্যাদি মিশিয়ে হাঁস-মুরগির খাদ্য তৈরি করা হয়ে থাকে। বাজার সম্ভাবনা: বাজারে বর্তমানে বেশ কয়েক ধরণের পোলট্রি ফিড তৈরি অবস্থায় পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে কিছু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আছে যাদের উৎপাদনসামগ্রী মান বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের পণ্যের মান নির্ধারিত মানের অনেক নীচে। দেখা যায়, খাদ্য উৎপাদনের সময় যে মান থাকে ব্যবহারের সময় পর্যন্ত সে মান আর অক্ষুণ্ন থাকে না। ফলে ওই সব খাবার খেয়ে মুরগির স্বাস্থ্যহানী ঘটে। অনেক ছোট ছোট হাঁস-মুরগির খামারী খাদ্য তৈরিকে ঝামেলা মনে করেন। তারা বাজার থেকে তৈরি খাদ্যদ্রব্য কিনে থাকেন। এ ধরণের খামারীর সংখ্যা কম নয়। সেদিক বিবেচনা করল