Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2016

সন্তানের প্রতি পিতা মাতার কর্তব্য

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু। সন্তানের প্রতি পিতা মাতার কর্তব্য: আল্লাহ তা‘আলা মানব জীবনকে সন্তান-সন্তুতির মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় করেছেন। পারিবারিক জীবনে সন্তান-সন্ততি কতবড় নিয়ামত তা যার সন্তান হয়নি তিনি সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করে থাকেন। যাদেরকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সন্তান দান করেছেন তাদের উপর এক মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। পিতা-মাতার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হবে যদি সন্তানকে আদর্শবান রূপে গড়ে না তুলতে পারেন। কেননা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلاَّ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ ، أَوْ يُنَصِّرَانِهِ ، أَوْ يُمَجِّسَانِهِ» প্রতিটি নবজাতক তার স্বভাবজাত দ্বীন ইসলামের ওপর জন্ম গ্রহণ করে। অতঃপর তার মা-বাবা তাকে ইয়াহূদী, নাসারা অথবা অগ্নিপূজক হিসেবে গড়ে তোলে [সহীহ বুখারী: ১৩৫৮]। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা দিন দিন যেভাবে অপসংস্কৃতি, অনৈতিকতা এবং চরিত্র বিধ্বংসী কাজের দিকে ধাবিত হচ্ছে, সেখানে আমাদের সন

পবিত্র কোরআনে কারিমে বর্ণিত নবীদের নাম

হজরত আবু জর গিফারি রাযিয়াল্লাহু আনহু প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! নবীদের সংখ্যা কত? তিনি জবাব দিলেন, ১ লাখ ২৪ হাজার। তাদের মধ্যে ৩১৫ জন হচ্ছেন রাসূল। তবে কোরআনে কারিমে মাত্র ২৫ জন নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের কারও কারও আলোচনা বিভিন্ন সূরায় একাধিক জায়গায় স্থান পেয়েছে। আবার কারও কারও নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। এর সংখ্যা মাত্র ৫টি। কোরআনে কারিম যেহেতু হেদায়েতের বাণী ও উপদেশগ্রন্থ, তাই অতীতকালের জাতি ও সম্প্রদায়ের ঘটনাবলি, তাদের ভালো-মন্দ আমল ও তার পরিণতি বর্ণনার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ধারা বর্ণনাপদ্ধতি অবলম্বন করা হয়নি। বরং সত্য প্রচারের লক্ষ্যে দাওয়াত প্রদানের মুখ্যতম পন্থাই গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে প্রাচীনকালের সম্প্রদায় ও তাদের প্রতি প্রেরিত পয়গম্বরদের আলোচনা বারবার শ্রবণ করার ফলে শ্রোতাদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে গেঁথে যেতে পারে এবং তা শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বেশ উপযোগীও বটে। কোরআনে কারিমে বর্ণিত ২৫ জন নবীর নাম হলো- ১. হজরত আদম আলাইহিস সালাম। মোট ৯টি সূরার ২৫ জায়গায় তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি সর্বপ্রথম মানুষ ও নবী ছিলেন।  ২. হজরত

বাংলা ভাষার ইতিকথা

অনেক বছর ধরে অনেক পরিবর্তন, পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আজকের বাংলা ভাষা। এটা সব ভাষার নিয়ম। ভাষাকে তাই তুলনা করা হয় নদীর স্রোতের সাথে, যা চলার পথে গতি পাল্টায়। ভাষাও এমন। মানুষের মুখে মুখে ব্যবহৃত হতে হতে উচ্চারণজনিত কারণে কিছু শব্দ, কিছু ধ্বনি পাল্টে যায়। এক সময় এই পরিবর্তনের কারণে ভাষাটাও পাল্টে যায় অনেকখানি। আর এভাবেই একটা ভাষা থেকে তৈরি হয় এক বা একাধিক নতুন ভাষা। বাংলা ভাষার উৎপত্তি নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। প্রথমে ধারণা করা হতো, সংস্কৃত থেকে এসেছে বাংলা। কিন্তু সংস্কৃত ছিল লেখার ভাষা, সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা নয়। তাই পরে এই ধারণা পরিবর্তিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে নানারকম প্রাকৃত ভাষা প্রচলিত ছিল। এসব ভাষাই ছিল সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা। যেহেতু এই ভাষাগুলোতে মানুষ কথা বলতো, তাই ধারণা করা হয় প্রাকৃত থেকেই বাংলার জন্ম। ভারতীয় আর্যভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলোর একটি শাখা। প্রাকৃত ভাষা এটির একটি স্তর। প্রাকৃত ভাষাও অবশ্য কয়েকটি স্তরে বিভক্ত। প্রাকৃত অপভ্রংশ তার মধ্যে সবচেয়ে শেষ স্তর।  নানারকম প্রাকৃত অপভ্রংশের মধ্যে একটি হচ্ছে মাগধী প্রাকৃত। ড. সুনীতিকুমার চট