Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2016

মাহে রামাযান ও আমাদের করণীয়

মাহে রামাযান: রামাযানের ছিয়াম আল্লাহর পক্ষ হ’তে তাঁর বান্দাদের জন্য একটি বিশেষ নে‘মত। আর তা পালনের অফুরন্ত প্রতিদানও মহান আল্লাহর নিকটে রয়েছে। হাদীছে এসেছে, মহান আল্লাহ বলেন, ‘ছিয়াম স্বতন্ত্র, তা আমারই জন্য। আর আমিই তার প্রতিদান দিব’। [1] তাই রহমত, বরকত ও মাগফিরাতে পরিপূর্ণ এ মাসে আমাদের কিছু করণীয়-বর্জনীয় রয়েছে। বিস্তরিত জানতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করুন… বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে সাওম মাহে রমযানকে যেভাবে স্বাগত জানাবেন মাহে রামাযানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ছিয়ামের আদব মাহে রামাযান ও আমাদের করণীয় মাহে রামাযানে ইবাদত-বন্দেগী রমযানের শেষ দশক এতেকাফ তাৎপর্য, উদ্দেশ্য ও বিধান লাইলাতুল কাদর ছিয়ামের ফাযায়েল ও মাসায়েল রোজাদার বোনদের প্রতি খোলা চিঠি রোজার মাহাত্ম, তাৎপর্য ও বিধি-বিধান রমযানের সাধারন ভুলত্রুটি মাহে রামাযানে ইবাদত-বন্দেগী যে সমস্ত চিকিৎসায়/ঔষধে ছিয়াম ভঙ্গ হয় না রোযা অবস্থায় বীর্যপাত এবং স্বপ্নদোষের বিধান (প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য) প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য চেষ্টা করতে হয়। চেষ্টা-সাধনা ছাড়া কোন কিছু অর্জন

লাইলাতুল কদর: মর্যাদা ও করণীয়

লাইলাতুল কদর: সূরা কাদর: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ১ নিশ্চয়ই আমি এটা অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রজনীতে; ২ তুমি কি জান সেই মহিমান্বিত রজনীটি কি ? ৩ মহিমান্বিত রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। ৪ ঐ রাত্রিতে ফেরেশতাগণ ও (তাদের সর্দার) ‘রুহ’ অবতীর্ণ হর প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। ৫ শান্তিই শান্তি, সেই রজনী ঊষার অভ্যুদয় পর্যন্ত। ইমাম আবূ মুহাম্মদ ইবনে আবী হাতিম (র) এই সূরার তাফসীর প্রসঙ্গে একটি বিস্ময়কর রিওয়াইয়াত আনয়ন করেছেন। হযরত কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, সপ্তম আকাশের শেষ সীমায় জান্নাতের সাথে সংযুক্ত রয়েছে সিদরাতুল মুনতাহা, যা দুনিয়া ও আখিরাতের দূরত্বের উপর অবস্থিত। এর উচ্চতা জান্নাতে এবং এর শিকড় ও শাখা প্রশাখাগুলো কুরসীর নিচে প্রসারিত। তাতে এতো ফেরেশতা অবস্থান করেন যে, তাদের সংখ্যা নির্ণয় করা আল্লাহ পাক ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। এমন কি চুল পরিমাণও জায়গা নেই যেখানে ফেরেশতা নেই। ঐ বৃক্ষের মধ্যভাগে হযরত জিরবাঈল আলাইহি সালাম অবস্থান করেন। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে হযরত জিবরাঈল আলাইহি সালামকে ডাক দিয়ে বলা হয়,“হে জিবরাঈল (আ) কদরের রাত্রিতে সমস্

কোরআন ও সুন্নাহর মানদণ্ডে শবে বরাত ও শা‘বান মাসের করণীয়

কোরআন ও সুন্নাহর মানদণ্ডে শবে বরাত -মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন শবে বরাত বা মধ্য শাবানের রজনী নিয়ে এই উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা যায়। এ রাতের ফজিলতের মহাগুরুত্ব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা আছে। তবে কোরআন-সুন্নাহর সঠিক জ্ঞানই এই পথ থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে। আর এতে মুসলিম উম্মাহর বিভাজনের রেখা অনেকাংশেই মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  মাঝেমধ্যে দেখা যায়, সঠিক কোনো প্রমাণ না থাকলেও ইবাদতের শুরুতে মুসলিম সমাজে বিদয়াত চালু হয়েছে ব্যক্তিবিশেষের দোহাই দিয়ে। উদাহরণস্বরূপ কাউকে যদি বলা হয়, কেন তুমি এভাবে জিকর বা ইবাদত করছ? সে সঙ্গে সঙ্গে বলবে, অমুক অলি, অমুক পীরসাহেব, অমুক আলিম বা অমুক আকাবের করেছেন, তাই করি। সে এ কথা বলে না যে, আল্লাহ বলেছেন তাই করি, রাসুল (সা.) বলেছেন, করেছেন বা সম্মতি দিয়েছেন, তাই করি বা অমুক সাহাবি করেছেন, তাই করি। সত্যিই এটি মহাপরিতাপের বিষয়।  এমনিভাবে মধ্য শাবানের রজনীকে (শবে বরাত) নিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলিত কিছু আমল মুরুব্বিদের দোহাই দিয়ে চলছে, যাতে কোরআন ও সহিহ সুন্নাহর কোনো দলিল খুঁজে পাওয়া যায় না।  এখন শবে বরাত শব্দের বিশ্ল

প্রবৃত্তি দলনে তাহাজ্জুদ সালাতের গুরুত্ব

প্রবৃত্তি দলনে তাহাজ্জুদ সালাতের গুরুত্ব সাইয়্যেদা সুরাইয়া আল্লাহ সুবহানাহু-তায়ালা সূরা মুযযাম্মিলে রাসূলুল্লাহ সা:-কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই রাতের এবাদত প্রবৃত্তি দলনে এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল’ (সূরা মুযযাম্মিল: ২)। নাশিয়াতাল লাইল-সম্পর্কে আয়েশা রা: বলেন, ‘এর অর্থ রাতের নিদ্রার পরে নামাজের জন্য গাত্রোত্থান করা।’ নবুওতের প্রাথমিক সময়ে রাসূলুল্লাহ সা: ও তাঁর সাহাবা রা:-দের ওপর তাহাজ্জুদ সালাত ফরজ ছিল। নফল ছিল না। তাহাজ্জুদের সালাত সম্পর্কে হারিস ইবনে হিশাম রা:-আয়েশা রা:-কে নবী সা:-এর তাহাজ্জুদ সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। আয়েশা রা: বলেন, ‘তুমি কি সূরা মুযযাম্মিল পড়নি?’ হারিস ইবনে হিশাম রা: ‘হ্যাঁ পড়েছি।’ আয়েশা রা: বলেন, ‘তাহলে শোন নবুওয়তের প্রাথমিক সময়ে নবী সা: এবং তাঁর সাহাবা রা:-গণ তাহাজ্জুদের সালাত ফরজ হিসেবে আদায় করতেন। এমন কি তাদের পা পর্যন্ত ফুলে যেত। বারো মাস পরে এ সূরার শেষের আয়াতগুলো নাজিল হয় এবং মহান আল্লাহ ভার লাগব করে দেন। তাহাজ্জুদ সালাতকে তিনি ফরজ হিসেবে না রেখে নফল হিসেবে রেখে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ : সূত্র-তাফসিরে ইবন কাসির) রাসূলুল্লাহ সা: ও সা

মুসলিম বিশ্ব : ধর্ম ও রাজনীতি

মুসলিম বিশ্ব : ধর্ম ও রাজনীতি -ড. আহমদ আবদুল কাদের মুসলিম বিশ্ব প্রায় অর্ধশতাধিক রাষ্ট্রের সমন্বিত নাম। এসব রাষ্ট্রের জনগণের সাধারণ ধর্ম ইসলাম হলেও সে দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ফেরকা, মাজহাব ও জাতিগত পার্থক্য। আবার রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রের সাথে ইসলামের সম্পর্কও সর্বত্র এক ধরনের নয়। অর্থাৎ ধর্ম ও রাজনীতির দিক দিয়ে রয়েছে ব্যবধান। ফলে ধর্মীয় ও রাজনৈতিকভাবে মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ও ভূমিকা পালনে এখন অপারগ। তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নানা যড়যন্ত্র ও চক্রান্তের শিকার। এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। দেশগুলোর ধর্মীয় ফেরকাভিত্তিক অবস্থান : বর্তমান মুসলিম বিশ্বের তিনটি ধর্মীয় সম্প্রদায় রয়েছে, যারা কোনো না কোনো রাষ্ট্রের সংখ্যাগুরু অংশ। এ তিনটি সম্প্রদায় হচ্ছে- সুন্নি, শিয়া ও ইবাদি। এদের মধ্যে সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হচ্ছে ৪৫টি, শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হচ্ছে পাঁচটি, ইবাদি সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র একটি। ক. শিয়া রাষ্ট্রগুলো : পাঁচটি শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের সবই ইসনা আশারিয়া শিয়া। এগুলো হচ্ছে- ১. ইরান : ৯০-৯৫ শতাংশ : ইসনা আশারিয়া/জাফরি ফিকাহ; বাকিরা

রাসূল সা:-এর চিকিৎসা বিধান

রাসূল সা:-এর চিকিৎসা বিধান -ডক্টর মুহাম্মদ মুশাররফ হুসাইন তিববুন নববী বা বিশ্বনবী সা:-এর চিকিৎসা বিধান মানবজাতির স্বাস্থ্যসেবার ইতিহাসে একটি অনন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিববুন নববী বলতে আমরা রোগ, ওষুধ ও চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, সুস্থতা, স্বাস্থ্যের হিফাজত ইত্যাদি সম্পর্কে নবী করীম সা:-এর কথা, কাজ ও নির্দেশনাকে বুঝে থাকি। বিভিন্ন সহিহ হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, অসুস্থ ব্যক্তিরা প্রায়ই নবী করিম সা:-এর কাছে আগমন করতেন এবং তিনি তাদের আরোগ্যের জন্য ব্যবস্থাপত্র দিতেন ও আল্লাহর কাছে আরোগ্য লাভের জন্য দু’আ করতেন। তাঁর রোগ ও চিকিৎসাসংক্রান্ত এসব বাণীর ওপর ভিত্তি করে তদানীন্তন আরব সমাজে তিববুন নববী সা: নামে একটি বিশেষ চিকিৎসাব্যবস্থা গড়ে ওঠে, যা আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে উত্তীর্ণ একটি যৌক্তিক ও কার্যকর ব্যবস্থা। ওই সময় আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কার বলতে কিছুই ছিল না। কিন্তু রোগ-ব্যাধি তখনো ছিল। যদিও নবী করিম সা:-এর আগমন ডাক্তার বা ফার্মাসিস্ট হিসেবে ছিল না, তথাপি তিনি রোগ নিরাময়ে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক ব্যবস্থাপত্রসংবলিত বক্তব্য রেখেছেন এবং অসুস্থ ব্যক্তি তাঁর ব্যবস্থাপত্রে সম্পূর্ণ আরোগ্য