Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2015

আইডিয়া বা বিজনেস প্রপোজাল লিখবেন কীভাবে?

আপনার একটা দারুণ আইডিয়া আছে, সেটা অন্যদের বোঝাতে বা জানাতে চান, কাউকে সেই আইডিয়াটা দিয়ে কনভিন্স করতে চান, কিন্তু কীভাবে? বিজনেস প্রপোজাল আছে, ইনভেস্টরকে সেটা বোঝাতে চান, যাতে তিনি বিনিয়োগ করেন আপনার ব্যবসায়। রিসার্চ করতে চান, প্রফেসরকে আপনার আইডিয়া বা রিসার্চ প্রপোজালটা ব্যাখ্যা করতে চান, যাতে তিনি আপনাকে তার গ্রুপে নেন, কিংবা ফান্ডিং দেন। এই ব্যাপারটা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই করা লাগে। ছাত্রদের থিসিস, রিপোর্ট, পেপার, ইত্যাদি কিংবা রিসার্চ পেপারে তাদের আইডিয়া প্রকাশ করতে হয়। আবার প্রফেশনাল প্রেজেন্টেশন দেয়ার সময়েও আপনার আইডিয়া কাউকে "খাওয়াবার" দরকার হতে পারে। দোকানে কিছু কিনতে গেলে দেখবেন, দোকানদার নানা কৌশলে আপনাকে তার জিনিষ গছাবার চেষ্টা করছে। খেয়াল করে দেখবেন, কেউ কেউ এই কাজটা খুব ভালো করে পারে, আবার কেউ কেউ খাবি খায়। এর রহস্যটা কী? আসলে এই আইডিয়া প্রেজেন্টেশনের কাজটা খুব সিস্টেম্যাটিকভাবে করা সম্ভব, আপনার মনের চিন্তাগুলাকে নির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করলে সেটা আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের মনোযোগ পেতে বাধ্য। কয়েকমাস আগে একটা ওয়ার্কশপে

গ্রাফিক ডিজাইন এবং ফ্রীল্যান্সিং

ফ্রীল্যান্সিং কি? ফ্রীল্যান্সিং কি সে সম্পর্কে মোটামুটি সব মানুষই এখন জানে। তারপরও কারো অজানা থাকতেই পারে। ফ্রীল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীনভাবে কোন কাজ করা। বাংলায় যাকে বলা হয় মুক্ত পেশাজীবি। কিন্তু বর্তমানে ফ্রীল্যান্সিং বলতে যারা অনলাইনে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করে তাদেরকে বুঝায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন কী? বর্তমান সময়ের একটি আকর্ষণীয় পেশা হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন । যারা নিজেদের ক্রিয়েটিভ ধারনাকে রঙ তুলির মাধমে প্রকাশ করতে চান তাদের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি অন্যতম মাধ্যম । অন্যান্য সব চাকরির থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশাটি সবচেয়ে নিরাপদ ও ঝামেলা বিহীন। নিরাপদ ও ঝামেলাবিহীন বলার কারণ হলো অন্যান্য সব পেশার বিপরীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কোনো কাজের অভাব হয় না। এটা একটি সন্মানজনক পেশাও।বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা খুব বেশি। লোকাল মার্কেটপ্লেস এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্সের অভাবনীয় চাহিদা রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন দ্বারা যে কাজ গুলো সচরাচর করা হয়ঃ • Photo Editing • Photo Retouching • Image Manipulation • Logo Design • Web templa

রক্তচাপ কমানোর ১৯ টি প্রাকৃতিক উপায়

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন ধমনীতে অস্বাভাবিক রক্তের চাপ সৃষ্টি করে। যার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি হৃদরোগের সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের ধমনীতে রক্তের প্রবাহ এবং আমাদের হৃদয়ে পাম্পের পরিমাণ নির্ণয় করে রক্তচাপের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। আপনার হৃদয় যত বেশি রক্ত পাম্প করবে আপনার ধমনী তত বেশি সংকীর্ণ হবে। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়। উচ্চ রক্তচাপ একটি নিরব হত্যাকারী। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হৃদরোগ, অঙ্গ ব্যর্থতা ও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আপনার ডাক্তার আপনাকে অনেকগুলো ঔষধ প্রদান করবে রক্তচাপ স্বাভাবিক করার জন্য। কিন্তু, আপনার রান্নাঘরেই এমন কিছু জিনিস রয়েছে, যা আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সমাধান করবে। সেগুলো হল- ১. ব্যায়াম : অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দেয় ৬ থেকে ৮ ইউনিট।  ২. মেডিটেশন : ইয়োগা বা মেডিটেশন রক্তচাপ কমায়। উন্মুক্ত বাতাসে অন্তত পাঁচ মিনিট ধীরে ধীরে এবং দীর্ঘ দম নিলে রক্তচাপ কমে। ৩. আলু খান : পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি বেশি খেতে হবে। এক্ষেত্রে বেশি আলু খাওয়াই হতে পারে রক্তচাপ কমানোর উৎকৃষ্ট উপায়। ৪. লবণ পরিহার :

রক্তচাপ মাপার কৌশল

বিপদ বলে কয়ে আসে না। হাতের কাছেও সব সময় ডাক্তার পাবেন না। প্রয়োজনীয় কিছু কাজ আপনাকেও করতে হতে পারে বা করা উচিত , এতে অনেক সময় অনেক বড় বিপদ থেকেও বেঁচে যাওয়া যায়। জীবন রক্ষা করা যায়। অথবা ছোটো খাটো সমস্যা আপনিও সামলাতে পারেন। অনেক কারণেই আপনার বা আপনার পরিবারের যে কারো প্রেশার (রক্তচাপ) বেড়ে বা কমে যেতে পারে। আপনি যদি তাৎক্ষনিক প্রেশারটা মাপতে পারেন তাহলে তার জীবনও রক্ষা হতে পারে। তাছাড়া উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করে আমরা আগে থেকেই তা শনাক্ত করতে পারি বা উচ্চ রক্তচাপ জনিত জটিলতা থেকে রক্ষা পেতে পারি। আজকে আমরা কী করে প্রেশার মাপতে হয় তা শিখবো। রক্তচাপ নির্ণয় করার অপরিহার্য অংশ রক্তচাপমান যন্ত্র বা (বিপি মেশিন)। ইংরেজিতে বলা হয় স্ফিগমোম্যানোমিটার (sphygmomanometer)। বেশির ভাগ ওষুধের দোকানেই রক্তচাপ মাপার এ যন্ত্রটি পাওয়া যায়। রক্তচাপ মাপার জন্য রক্তচাপমান যন্ত্র ছাড়া একটি স্টেথোস্কোপ দরকার হয়। অনেকে ডিজিটাল যন্ত্রও ব্যবহার করেন। তবে ডিজিটাল যন্ত্রের দাম বেশি এবং ঠিকমতো ব্যবহার না করলে রিডিং-এ গড়মিল হতে পারে। একজন মানুষের রক্তচাপ প্রতি মুহূর্ত

ব্রণ সমস্যার আধুনিক চিকিৎসা

ব্রণ সমস্যার আধুনিক চিকিৎসা যৌবনের একটি অবাঞ্ছিত সমস্যার নাম হচ্ছে ব্রণ। সুন্দর মুখশ্রীর ওপর ব্রণ যদি দেখা দেয় তাহলে ছেলে বা মেয়েই হোক, কারোরই মনে স্বস্তি নেই। কোন বয়সে বেশি হয়ঃ ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সে এটি বেশি হয়। তবে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত এটি হতে দেখা যায়। টিনএজারদের মধ্যে শতকরা নব্বই ভাগের ক্ষেত্রেই কম অথবা বেশি পরিমাণে এটি হয়ে থাকে। ২০ বছর বয়সের পর থেকে এটি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। শরীরের কোথায় হয়ঃ সাধারণত মুখে যেমন গাল, নাক, থুতনি ও কপালে হতে দেখা যায়। তবে শরীরের উপরের অংশে ও হাতের ওপরের অংশেও হরহামেশাই হতে দেখা যায়। ব্রণ হওয়ার কারণঃ বংশগত প্রভাব একটি অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ কারণ। স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়ায় একটি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যার নাম প্রোপাওনি ব্যাকটেরিয়াম একনি। বয়ঃসন্ধিকালে এড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে সেবাসিয়াস গ্রন্হি থেকে সেবামের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই সেবাম থেকে ফ্রি ফ্যাটি এসিড তৈরি করে লোমের গোড়ার উপস্হিত ব্যাকটেরিয়া। ফলে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এই ফ্যাটি এসিডের প্রভাবে। এর পাশাপাশি জমা হয় লোমের গোড়ায় কেরাটিন নামক পদার্থ। ফলে সেবাসিয়াস গ্রন্হিপথ বন্ধ হতে থ

দেশি বিদেশি ফলমূল

ফলের রাজ্যে স্বাগতম, এক সাথে সব ফল গুনাগুন সহ বর্ণনা: বেশি করে শাকসবজি ও ফলমুল খেলে মন মেজাজ প্রফুল্ল ও ফুরফুরে থাকে। শুধু তা-ই নয়, দৈনন্দিন কাজের উদ্যম বাড়ে। মনে সুখ থাকে। এমনটাই জানা গেছে নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায়। ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড, ক্যারোলিন হোরওয়াথ মানুষের মন মেজাজ ভালো থাকার সাথে খাবারের সম্পর্ক নিয়ে এ গবেষণা চালান। এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন মনোবিঙান বিভাগের গবেষক ড, তামলিন কোনার ও বোন্নি হোয়াইট। ব্রিটিশ জার্নাল অব হেলথ সাইকোলজিতে সম্প্রতি তাদের এ গবেষণা ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ২৮১ জন তরুণের উপর এ গবেষণা চালানো হয় যাদের গড় বয়স ২০। অনলাইনের মাধ্যমে টানা ২১ দিন গবেষণাকার্যক্রম চালানো হয়েছে। গবেষণায় প্রতি অংশগ্রহণকারীকে বয়স, লিঙ, অজন, উচ্চতা ও বংশ সংক্রান্ত সব তথ্য দিতে হয়েছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী তরুণদের টানা ২১ দিন ধরে প্রতি সন্ধ্যায় নিজেদের মন মেজাজ সম্পর্কে তথ্য জানাতে হতো। তাদের মন মেজাজ কেমন ছিল তা জানানোর পাশাপাশি প্রতিদিনের খাদ্য জালিকায় ফলমুল ছিল কি না তা জানাতে হতো। ফলমুলের পাশাপাশি কী পরি

আবিষ্কারের পেছনের মজার গল্প

১. টুথপেস্ট সকালবেলা ব্রাশ হাতে নিয়ে টুথপেস্ট টিউবের পেট টিপে যদি পেস্ট না পাওয়া যায় তখন মেজাজটা বিগড়ে যাওয়া খুব অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। কিন্তু কী করে এই টুথপেস্ট আমাদের ঘরে এলো। টুথপেস্ট আবিষ্কারের হাজার হাজার বছর আগে চীন, মিশর ও ভারতে প্রথম দাঁত মাজা ও সুস্থ থাকার চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়। এসময় মানুষ গাছের বাকল, লবণ ও ফুলের পাপড়ি মিশিয়ে এক ধরনের মিশ্রণ তৈরি করত। এরপর পারস্যের এক ব্যক্তি জিরইয়াব নতুন এক ধরনের মাজন তৈরি করেন। এটা ছিল পরিশোধিত ও সুগন্ধযুক্ত। তারপর নানা হাত ঘুরে আজকের মাজন ও পেস্ট চলে আসে আমাদের ঘরে। ২. ব্রাশ সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার জন্য আমরা যে আধুনিক ঝকঝকে রং বেরংয়ের ব্রাশ ব্যবহার করি তার আবিষ্কারের গল্পটাও বেশ মজার। ১৭৭০ সালে দুষ্কর্মের অভিযোগে ইংল্যান্ডের উইলিয়াম অ্যাডিস নামের এক ভদ্রলোককে জেলে যেতে হয়। সেসময় জেলের ভেতর মোটা কাপড় দিয়ে দাঁত মাজতে হতো। ব্যাপারটা মোটেই ভালো লাগত না তার। তিনি চিন্তা ভাবনা করে বের করেন চমৎকার একটি আইডিয়া। খাবার শেষে পড়ে থাকা একটি হাড়ের এক দিকে বেশ কিছু ফুটো করে জেলের সেপাইদের কাছ থেকে চেয়ে নেন ঘোড়ার লেজের কিছু চুল। তারপর কায়দা