Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2016

মাগুরায় নারিকেলের মালা দিয়ে বোতাম তৈরি

নারিকেলের খোল এখন থেকে আর ফেলনা নয়। এই খোল দিয়ে মাগুরা শহরতলীর বরুনাতৈল গ্রামের আব্দুল হান্নান বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি করছেন বিভিন্ন ডিজাইনের বোতাম ও মহিলাদের নানা রকম অলংকার। এ থেকে হান্নান নিজে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি তার এ কারখানায় বোতাম তৈরির কাজ করে এলাকার নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। হান্নান জানান, ঢাকার গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন দোকানে চীন থেকে আমদানি করা কাঠের বোতাম দেখে সর্ব প্রথম তার এই উদ্ভাবনি চিন্তা মাথায় আসে। তখন তার হাতে যথেষ্ঠ পুজি ছিল না।এ কারণে এক রকম ঝুকি নিয়েই এক সময়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ও কৃষক শেখ হান্নান ৫ বছর আগে সামান্য এক টুকরো জমি বিক্রি করে কিনে আনেন বোতাম তৈরি ৭টি মোটর চালিত ড্রিল মেশিন।বসত বাড়ির একটি কক্ষে সাত জন মহিলা শ্রমিক নিয়ে শুরু হয় তার যাত্রা। প্রথম চালানেই ঢাকার বেশ কিছু গার্মেন্টসে সুনাম অর্জন করে তার তৈরি করা বোতাম। এরপর কঠোর পরিশ্রম তার এই পথচলাকে আরো বিস্তৃত করে। এখন তার বাড়িতে বসেছে ১৬টি মেশিন। যেখানে প্রতিদিন কাজ করছেন এলাকার দরিদ্র পরিবারের ১৫ থেকে ২০ জন মেয়ে ও গৃহবধূ।আর তাদের হাতে প্রতিমাসে তৈরি হচ্ছে তিন থ

মাশরুম চাষ

মাশরুম চাষ কিভাবে করা যায়, চাষ করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে কিনা, এর পুষ্টিমান এবং সর্বোপরি এর মাধ্যমে কিভাবে বাড়তি আয় করা সম্ভব, সেই বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। ‘‘মাশরুম” ব্যাঙের ছাতার মতো এক ধরণের ছত্রাক জাতীয় গাছ। মাশরুম ও ব্যাঙের ছাতা দেখতে একই রকম হলেও এদের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে জন্ম নেওয়া কোন কোন মাশরুম বিষাক্ত হয় এবং সেগুলো খাওয়া যায় না। সূর্যের আলোয় প্রাকৃতিকভাবে খুব বেশি মাশরুম জন্মাতে পারে না তাই প্রাকৃতিক উপায়ে খাবারের জন্য বেশি করে মাশরুম পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে অনেক স্থানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাশরুম চাষ করা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষকরা মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। আমাদের দেশের অনেক জায়গায় বিশেষ করে ঢাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, মধুপুর প্রভৃতি স্থানে এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে মাশরুম চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। মাশরুম চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাড়তি আয় করাও সম্ভব। মাশরুম চাষ করতে আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না। বাজার সম্ভাবনা: আমাদের দেশের বড় বড় শহরগুলোর বিভিন্ন হোটেল ও চাইনিজ হোটেলগুলোতে মাশরুমের চাহিদা আ

যারা ডেইরি ফার্ম দিতে আগ্রহী

ডেইরি ফার্ম যারা দিতে আগ্রহী তাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করা দরকার। অনেকেই প্রশ্নকরেন ভাল জাতের গাভী বা বকনা কোথায় পাব ? এ প্রশ্নটা আমি নিজেও করেছি অনেক তবে এখন বোকা বোকা লাগে তাই করিনা। ভাল জাত বা উন্নত জাত বলতে আমরা আসলে কি বুঝি সেটা আমরা নিজেরাও জানি না।

চাকরির পরিবর্তে গরু পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার বাস্তব গল্প

আমি সবাইকে দেখিয়ে দিতে চাই। লেখা পড়া করে চাকরির পিছনে দৌড়ানোর পরিবর্তে গরু পালন করেও অনেক টাকার মানুষ হওয়া য়ায়। আমি তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। কথাগুলো বললেন ডিগ্রী পাস করা ছাত্র রওশন আলম উজ্জ্বল (২৫)। আতাইকুলার সড়াডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল বাতেন মাস্টারের ছেলে সে। তার জীবনের লুকিয়ে রাখা ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে চায় গরু পালন করে। ইচ্ছাগুলো ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন শুরু করেছে সে।

বাংলাদেশের সফল উদ্যোক্তাদের অজানা গল্প

প্রত্যেক সফল মানুষেরই জীবনে একটি গল্প থাকে। তাকে ঐ সফলতার জন্য অনেক কষ্ট ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়েছে। পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক কন্টকাকির্ন পথ। যাদের পরিশ্রমের ফল আমরা দেখতে পাই। কিন্তু হয়তো আমরা অনেকেই তাদেরকে জানিনা। আজ তেমনি কয়েক জন সফল মানুষ সম্পর্কে জানবো। যাদেরকে বলা হয় ‘দ্য বিজনেস আইকন অব বাংলাদেশ।’ মোস্তফা কামাল: আমরা ফ্রেশ ব্রান্ডের অনেক পন্যই বাজার থেকে কিনি। কিন্তু এটা যে কার পরিশ্রমের ফসল তা আমরা অনেকেই জানিনা। আর তিনি হলেন মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল।

উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প: নিটল নিলয় গ্রুপ

উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প আবদুল মাতলুব আহমাদ এফবিসিআইয়ের সভাপতি নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান: ছোটবেলায় আমাদের অজস্র স্বপ্ন থাকে, শখ থাকে, জীবনে অনেক কিছু করার প্রবল ইচ্ছা থাকে। আর যখন আমরা বড় হয়ে যাই, ধীরে ধীরে সেসব স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষাগুলো বিবর্ণ হতে হতে মিলিয়ে যায়।    

অর্গানিক ফুড কী এবং কেন?

নিরাপদ আহার অর্গানিক ফুড গত ৬ জুন ছিল পরিবেশ দিবস। পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এখন সময়ের দাবি। আর পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অর্গানিক ফুডের কোনো বিকল্প হয় না। এসব নিয়ে লিখেছেন সুমাইয়া হাবীবা সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই নিরাপদ আহার। বর্তমানে ভেজাল খাবারের জলোচ্ছ্বাসে নিরাপদ আহার কথাটা নিঃসন্দেহে মনে কৌতূহল জাগায়। অর্গানিক ফুডকে বলা হয় নিরাপদ আহার। অর্গানিক ফুড কথাটা ইদানীং বেশ শোনা যাচ্ছে। অর্গানিক ফুড আসলে কী? কোনো ধরনের কৃত্রিম সার, রাসায়নিক ইত্যাদি ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলকেই অর্গানিক বলা হয়। ফলে ফসলের ক্ষতিকারক দিক থাকে না।

মাল্টা চাষে সাখাওয়াতের সফলতার গল্প

সাখাওয়াতের সফলতায় হতবাক সবাই অসম্ভবকে সম্ভব করে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার মাটিতে মালটা চাষ করছেন কৃষক সাখোয়াত হোসেন। সাড়ে ২৮ বিঘা জমিতে মালটা চাষ হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও মালটা চাষে সফলতা পেয়েছেন তিনি। নিজের সন্তানের মত করেই মালটা গাছ লালন-পালন করছেন। পাহাড়সম পথ পাড়ি দিয়ে এখন সফলতার দার প্রান্তে। প্রায় দেড় কোটি টাকার মালটা বিক্রির সম্ভবনা রয়েছে এ মৌসুমে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কেউই এখনও পর্যন্ত খোঁজ নেননি, সহযোগিতা তো দুরের কথা। মালটা বাগানে ১৫ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন।

কারুন ও তার অভিশপ্ত ধন

কোরআনের ভাষায়: ‘অতঃপর কারূন জাঁকজমক সহকারে তার সম্প্রদায়ের সামনে বের হল। যারা পার্থিব জীবন কামনা করত, তারা বলল, আহা! কারূনকে যেরূপ দেয়া হয়েছে আমাদেরকেও যদি তা দেয়া হত। নিশ্চয়ই সে বড় ভাগ্যবান। (সূরা কাসাস, ৭৯)

বাগানের মালিকদের কাহিনী

সূরা ক্বালামে বর্ণিত বাগান মালিকদের কাহিনী: আল্লাহ বলেন: “নিশ্চয় আমি এদেরকে পরীক্ষা করেছি, যেভাবে পরীক্ষা করেছিলাম বাগানের মালিকদেরকে। যখন তারা কসম করেছিল যে, অবশ্যই তারা সকাল বেলা বাগানের ফল আহরণ করবে।”  আর তারা ‘ইনশাআল্লাহ’ বলেনি।  অতঃপর তোমার রবের পক্ষ থেকে এক প্রদক্ষিণকারী (আগুন) বাগানের ওপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে গেল, আর তারা ছিল ঘুমন্ত। ফলে তা (পুড়ে) কালো বর্ণের হয়ে গেল।  তারপর সকাল বেলা তারা একে অপরকে ডেকে বলল, ‘তোমরা যদি ফল আহরণ করতে চাও তাহলে সকাল সকাল বাগানে যাও’। তারপর তারা চলল, নিম্নস্বরে একথা বলতে বলতে- যাতে সেখানে কোন অভাবী যেন প্রবেশ করতে না পারে’। আর তারা ভোর বেলা দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি নিয়ে সক্ষম অবস্থায় (বাগানে) গেল। তারপর তারা যখন বাগানটি দেখল, তখন তারা বলল, ‘অবশ্যই আমরা পথ ভুলে এসেছি’। ‘বরং আমরা বঞ্চিত’। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ব্যক্তিটি বলল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, তোমরা কেন (আল্লাহর) তাসবীহ পাঠ করছ না’? তারা বলল, ‘আমরা আমাদের রবের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমরা যালিম ছিলাম’। তারপর তারা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করতে লাগল। তারা বলল, ‘হায়, আমাদের ধ্বংস

মূসা (আঃ), ফেরাঊন ও বনী ইসরাঈল

ভূমিকা: আল্লাহর গযবে ধ্বংসপ্রাপ্ত পৃথিবীর আদি ৬টি জাতির মধ্যে কওমে নূহ, ‘আদ, ছামূদ, লূত্ব ও কওমে মাদইয়ানের বর্ণনার পর ষষ্ঠ গযবপ্রাপ্ত জাতি হিসাবে কওমে ফেরাঊন সম্পর্কে আল্লাহ পাক কুরআনের ২৭টি সূরায় ৭৫টি স্থানে বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন।[1] কুরআনে সর্বাধিক আলোচিত বিষয় হ’ল এটি। যাতে ফেরাঊনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য ও তার যুলুমের নীতি-পদ্ধতি সমূহ পাঠকদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং এযুগের ফেরাঊনদের বিষয়ে উম্মতে মুহাম্মাদী হুঁশিয়ার হয়। ফেরাঊনের কাছে প্রেরিত নবী মূসা ও হারূণ (আঃ) সম্পর্কে কুরআনে সর্বাধিক আলোচনা স্থান পেয়েছে। কারণ মূসা (আঃ)-এর মু‘জেযা সমূহ অন্যান্য নবীদের তুলনায় যেমন বেশী ছিল, তাঁর সম্প্রদায় বনী ইস্রাঈলের মূর্খতা ও হঠকারিতার ঘটনাবলীও ছিল বিগত উম্মতগুলির তুলনায় অধিক এবং চমকপ্রদ। এতদ্ব্যতীত মূসা (আঃ)-কে বারবার পরীক্ষা নেবার মধ্যে এবং তাঁর কওমের দীর্ঘ কাহিনীর আলোচনা প্রসঙ্গে বহু জ্ঞাতব্য বিষয় ও আদেশ-নিষেধের কথাও এসেছে। সর্বোপরি শাসক সম্রাট ফেরাঊন ও তার ক্বিবতী সম্প্রদায় কর্তৃক সংখ্যালঘু অভিবাসী বনু ইস্রাঈল সম্প্রদায়ের উপর যুলুম-অত্যাচারের বিবরণ ও তার প্রতিরোধে মূসা (আঃ)

ইউসুফ (আঃ) কাহিনীর সার-সংক্ষেপ

কাহিনীর সার-সংক্ষেপ কাহিনীটি শৈশবে দেখা ইউসুফের একটি স্বপ্ন দিয়ে শুরু  হয়েছে এবং তার সমাপ্তি ঘটেছে উক্ত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে। মাঝখানের ২২/২৩ বছর মতান্তরে চল্লিশ বছর অনেকগুলি বিয়োগান্ত ও চমকপ্রদ ঘটনায় পূর্ণ। কাহিনী অনুযায়ী ইউসুফ শৈশবকালে স্বপ্ন দেখেন যে, ১১টি নক্ষত্র এবং সূর্য ও চন্দ্র তাকে সিজদা করছে। তিনি এই স্বপ্ন পিতা হযরত ইয়াকূবকে বললে তিনি তাকে সেটা গোপন রাখতে বলেন। কিন্তু তা ফাঁস হয়ে যায়। ফলে এটা তার সুন্দর ভবিষ্যতের হাতছানি ভেবে সৎ ভাইয়েরা হিংসায় জ্বলে ওঠে এবং তারা তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করে। অতঃপর তারা তাকে জঙ্গলের একটি পরিত্যক্ত অন্ধকূপে নিক্ষেপ করে। তিনদিন পরে পথহারা ব্যবসায়ী কাফেলার নিক্ষিপ্ত বালতিতে করে তিনি উপরে উঠে আসেন। পরে ঐ ব্যবসায়ীরা তাকে মিসরের রাজধানীতে বিক্রি করে দেয়। ভাগ্যক্রমে মিসরের অর্থ ও রাজস্ব মন্ত্রী ক্বিৎফীর  (قطفير)   তাকে খরিদ করে বাড়ীতে নিয়ে যান ক্রীতদাস হিসাবে। কয়েক বছরের মধ্যে যৌবনে পদার্পণকারী অনিন্দ্য সুন্দর ইউসুফের প্রতি মন্ত্রীর নিঃসন্তান স্ত্রী যুলায়খার আসক্তি জন্মে। ফলে শুরু হয় ইউসুফের জীবনে আরেক পরীক্ষা। একদিন

সুলাইমান (আঃ) এর কাহিনী

বাল্যকালে সুলায়মান (আঃ) হযরত দাঊদ (আঃ)-এর মৃত্যুর পর সুযোগ্য পুত্র সুলায়মান তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আবির্ভাবের ন্যূনাধিক দেড় হাযার বছর পূর্বে তিনি নবী হন। সুলায়মান ছিলেন পিতার ১৯জন পুত্রের অন্যতম। আল্লাহ পাক তাকে জ্ঞানে, প্রজ্ঞায় ও নবুঅতের সম্পদে সমৃদ্ধ করেন। এছাড়াও তাঁকে এমন কিছু নে‘মত দান করেন, যা অন্য কোন নবীকে দান করেননি। ইমাম বাগাভী ইতিহাসবিদগণের বরাতে বলেন, সুলায়মান (আঃ)-এর মোট বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তের বছর বয়সে রাজকার্য হাতে নেন এবং শাসনের চতুর্থ বছরে বায়তুল মুক্বাদ্দাসের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তিনি ৪০ বছর কাল রাজত্ব করেন  (মাযহারী, কুরতুবী) । তবে তিনি কত বছর বয়সে নবী হয়েছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায় না। শাম ও ইরাক অঞ্চলে পিতার রেখে যাওয়া রাজ্যের তিনি বাদশাহ ছিলেন। তাঁর রাজ্য তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী ও শক্তিশালী রাজ্য ছিল। কুরআনে তাঁর সম্পর্কে ৭টি সূরায় ৫১টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।[1] আমরা সেগুলিকে একত্রিত করে কাহিনীরূপে পেশ করার চেষ্টা পাব ইনশাআল্লাহ।

ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আঃ)

মা হাজেরা ও ইসমাঈল (আঃ) কে মরূভূমিতে রেখে আসা: হযরত সাঈদ বিন জুবায়ের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,তিনি হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন,একদা হযরত ইবরাহীম(আঃ) শিশুপুত্র ইসমাঈল ও তাঁর মা হাযেরাকে নিয়ে বের হ’লেন এমন অবস্থায় যে,হাযেরা তাকে দুধ পান করাতেন। অবশেষে যেখানে কা‘বাঘর অবস্থিত ইবরাহীম (আঃ) তাঁদের উভয়কে সেখানে নিয়ে এসে মসজিদের উঁচু অংশে যমযম কূপের উপর অবস্থিত একটি বিরাট গাছের নীচে রাখলেন। সে সময় মক্কায় ছিল না কোন জন-মানব, ছিল না কোন পানির ব্যবস্থা। তিনি একটি থলিতে খেজুর ও একটি মশকে সামান্য পানিসহ তাদেরকে সেখানে রেখে ফিরে চললেন। তখন ইসমাঈল (আঃ)-এর মা পিছনে চলতে লাগলেন এবং বললেন,‘হে ইবরাহীম! এই উপত্যকায় আমাদের রেখে আপনি কোথায় যাচেছন?এখানে না আছে কোন মানুষ,না আছে পানাহারের ব্যবস্থা’। তিনি এ কথাটি তাঁকে বার বার বলতে থাকলেন। ইবরাহীম (আঃ) তাঁর কথায় কান না দিয়ে চলতেই থাকলেন। অতঃপর হযরত হাযেরা

কুরবানী : ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি

আল্লাহর নৈকট্য, আত্মত্যাগ, আত্মোৎসর্গ, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য, সাম্য, মৈত্রী, সম্প্রীতির সুমহান মহিমায় ভাস্বর কুরবানী। কুরবানী আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) ও তদীয় পুত্র হাবিল-কাবীল এবং মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ) ও তদীয় পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-এর সুমহান আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা-ভরসা ও জীবনের সর্বস্ব সমর্পণের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমন্বয়।

হাদিসের গল্পঃ পাহাড়ের গুহায় আঁটকে পড়া তিন যুবক

একবার তিনজন লোক পথ চলছিল, এমন সময় তারা বৃষ্টিতে আক্রান্ত হ’ল। অতঃপর তারা এক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিল। হঠাৎ পাহাড় হ’তে এক খন্ড পাথর পড়ে তাদের গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তখন তারা একে অপরকে বলল, নিজেদের কৃত কিছু সৎকাজের কথা চিন্তা করে বের কর, যা আললাহর সন্তুষ্টির জন্য তোমরা করেছ এবং তার মাধ্যমে আললাহর নিকট দো‘আ কর। তাহ’লে হয়ত আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর হ’তে পাথরটি সরিয়ে দিবেন।

আসহাবুল উখদুদ: গর্তওয়ালাদের কাহিনী

গর্তে আগুন জালিয়ে ঈমানদাদেরকে তার মধ্যে নিক্ষেপ করার একাধিক ঘঠনার বর্ণনা পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায় এ ধরনের ঘঠনা একাধিক বার ঘটেছে।হযরত সুহাইব রুমী (রা) রাসূল (সা:) থেকে বর্ণনা করেছন, এক বাদশার নিকট একজন যাদুকর ছিল। বৃদ্ধবয়সে সে বাদশাহকে বলল একজন যুবককে আমার কাছে নিয়োগ কর সে আমার কাছ থেকে যাদু শিখে নেবে।কথামত বাদশাহ এক যুবককে নিযুক্ত করল।যুবকটি যাদুকরের নিকট আসা যাওয়ার পথে একজন পাদ্রীর ( সম্ভবত হযরত ঈসা (আ:) এর অনুসারী )সাথে পরিচিত হল। পাদ্রীর কথায় প্রভাবিত হয়ে সে ঈমান আনল। এমনকি তার শিক্ষায় সে অন্ধদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে এবং কুষ্ট রোগ নিরাময় করতে লাগল।যুবকটি তাওহীদের প্রতি ঈমান এনেছে শুনে বাদশাহ প্রথমে পাদ্রীককে হত্যা করল।তারপর যুবকটিকে হত্যার জন্য বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেও তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হল।শেষে যুবকটি বলল তুমি আমাকে হত্যা করতে হলে জনসমাবেশে "বিইমি রাব্বিল গোলামী " ( যুবকটি রবের নামে) বাক্য উচ্চারণ করে আমাকে তীর মারো তাতেই আমি মারা যাবো।বাদশাহ তাই করলা । ফলে যুবকটি মারা গেল।ঘঠনা দেখে উপস্তিত লোকেরা চিৎকার করে বলল আমরা এ ছেলেটির রবের প্রতি ঈমান আনলাম। (স

আসহাবে কাহফ: গুহাবাসী লোকদের কাহিনী

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- তুমি কি মনে করেছ যে, গুহা ও রকিমের অধিবাসীরা ছিল আমার আয়াতসমূহের এক বিস্ময়? যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিল, অতঃপর বলল, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড সঠিক করে দিন।’ ফলে আমি গুহায় তাদের কান বন্ধ করে দিলাম অনেক বছরের জন্য।বিতর্ককারীরা বলবে, ‘তারা ছিল তিনজন, চতুর্থ হল তাদের কুকুর।’ আর কতক বলবে, ‘তারা ছিল পাঁচজন, ষষ্ঠ হল তাদের কুকুর।’ এসবই অজানা বিষয়ে অনুমান করে। আর কেউ কেউ বলবে, ‘তারা ছিল সাতজন; অষ্টম হল তাদের কুকুর। (কাহফ, ১৮ : ০৯,১২,২২)

টিনের কৌটা দিয়ে চমৎকার হস্তশিল্প

Some of my favorites are 17 up cycled flower pots and 20 DIY light fixtures! I’ve done a few tin can crafts lately, and decided to see what else I could make with a good ol’ free tin can! I found lots of inspiration… check it out!