শেখার কোন শেষ নেই, শেখার চেষ্টা বৃথা তাই! বোকারাই এমনটা বিশ্বাস করে। শেখার কোন শেষ নাই তবে চালাক হলে অল্পতেই শেখা যায়! বেশিরভাগ সময়েই আমরা কিভাবে শিখছি তা নিয়ে মাথা ঘামাই না! কারণ অনেকের মতে শেখাটা নাকি প্রাকৃতিক ভাবে হয়ে যায়।
যেমন হামাগুড়ি দিতে দিতে হেঁটে ফেলা বা আমতা আমতা করে নামতা শিখে ফেলা। কিন্তু শেখারও অনেক কৌশল আছে। এমনি এমনি না শিখে বুদ্ধি খাটিয়ে শিখুন, সারাজীবন শেখা বিদ্যা কাজে লাগবে!
শেখার কোন বয়স বা সময় নেই। সব সময়ই শিখতে পারেন। তার জন্য দরকার পর্যবেক্ষন শক্তি। চারপাশটা দেখুন, মাথা খাটান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান। ব্যাস! অন্যদের চেয়ে বেশি শিখতে পারবেন সেই সাথে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়েও কাজ করতে পারবেন। তবে শুধু শিখেই রাখলেন কাজে না লাগালে শেখার মর্ম থাকলো কোথায়?
দ্রুত শেখার ৫ টি ছোট্ট কৌশল নিয়ে আলাপ করা যাক,
ভেতরের মানুষটাকে চুপ করিয়ে রাখুন:
তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা-সেটা কেউই জানেন না! তাই ভেতরের মানুষটাকে চুপচাপ রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অন্য কারো কথা যখন শুনছেন তখন শুধুই শ্রোতা থাকুন, পরে একসময় সেটার সাথে নিজের মতামত মিলিয়ে নিতে পারেন। কারন অন্যের কথা শোনার চেয়ে নিজে মনে মনে অনেক কিছু ভেবে নেয়া সহজ যার অধিকাংশই বাতিল হবার সম্ভাবণাই বেশি। ক্ষতির ক্ষতিটা হবে অন্যের কথায় মনোযোগ না দেয়ায় হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কথাটাই মিস হয়ে গেলো! তাহলে শেখা হলোটা কি? নিজের মস্তিষ্ককে আপাতত পাত্তা না দেয়া সামনের বক্তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন, নতুন কিছু শেখার সমূহ সম্ভাবণা রয়েছে।
নিজের সাথে তর্ক করুন:
যদি ভেতরের নিজেকে শেখার সময় চুপ করিয়ে রাখতে না পারেন তবে তার সুযোগ নিতে শুরু করুন। যখনই নিজের ভেতর অন্য কোন চিন্তা আসবে সাথে সাথে তার বিপরীত চিন্তাটা নিয়ে ভাবুন। আপনার মস্তিষ্ককে বোঝান সামনের বক্তা যা বলছে তাই আসলে ঠিক! নিজের সাথে তর্ক করতে করতে নিজের বক্তব্যের পক্ষেও শক্ত অবস্থান নেয়াটা শিখে যাবেন।
আগ্রহ দেখান:
কিছু কিছু মানুষ জন্মগতভাবেই সব ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকেন, আবার কেউ কোন ব্যাপারেই আগ্রহ বোধ করেন না। আপনি কোন গোত্রভূক্ত সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় কিন্তু আগ্রহী মানুষের ভান করে সুবিধা তুলে নিতে পারেন। লেকচার শোনার সময় মনের মধ্যে আসা প্রশ্নগুলো আলাদা করে লিখে রাখতে পারেন, পরে সময় পেলে তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে বা নিজে নিজেই গুগলে সার্চ দিয়ে দেখলেন!
গোয়েন্দাগিরি:
কোন কথা বা আইডিয়া হাওয়া থেকে উড়ে আসেনা। তার পেছনে কিছু চিন্তা, কিছু কার্যকারণ থাকে। তাই কাজের সাথে সাথে কাজের ফর্মুলা নিয়ে ভাবুন। এসব ফর্মুলা কোত্থেকে আসলো, কেন আসলো, কিভাবে আসলো, সেসব ভাবতে গেলে দেখবেন পুরোনো ফর্মুলা থেকেই নতুন কোন আইডিয়া পেয়ে যাচ্ছেন। মাসুদ রানা হয়ে দেখুন, অনেক কিছু সহজেই শিখতে পারবেন!
বক্তা নয় বক্তব্য:
বেশিরভাগ সময়েই আমরা বক্তব্য শোনার আগেই বক্তাকে নিয়ে বেশি মাথা ঘামাই। ফলে শেখার সম্ভাবণা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। ব্যক্তি হিসেবে বক্তা বোরিং হতেই পারেন, তাই বলে তার বক্তব্য বোরিং হবে এমনটা নাও হতে পারে। তাই বক্তা এবং বক্তব্যকে প্রথমেই আলাদা করে ফেলুন। শুধু শুনুন। একজন বোরিং বক্তাও ভালো বক্তব্য দিতে পারেন-অসম্ভব নয় কিন্তু!
আইএনসি ডটকম অবলম্বনে
Comments
Post a Comment