
আদা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা জাতীয় ফসল। এটি পুষ্টিমানে সমৃদ্ধ এবং এর ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। এতে লিপিড, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল, ভিটামিন, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে। গ্যাস্ট্রিক, ঠাণ্ডা ও কাশিসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে আদা ব্যবহার করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী ২০০৫-০৬ সালে বাংলাদেশে প্রায় ১৪ হাজার ২৯৪ হেক্টর জমিতে আদার চাষ হয়েছে। মোট উৎপাদন প্রায় ১.৭৩ লাখ মেট্রিক টন এবং হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন ১২.০৮ মেট্রিক টন। রাইজোম ফ্লাই আদার একটি প্রধান ক্ষতিকারক পোকা। এর আক্রমণে আদার ফলন ব্যাপকভাবে কমে যায়।
আদার পোকা দমন ব্যবস্থাপনা:
পোকার বৈশিষ্ট্য :
পূর্ণ বয়স্ক পোকা লম্বা পা-বিশিষ্ট। দেহ কালো, পাখা স্বচ্ছ এবং ধূসর দাগযুক্ত। পাখা বিস্তৃত অবস্থায় এর আকার ১৩-১৫ মি.মি.। পূর্ণতাপ্রাপ্ত লার্ভা ক্রিমের মতো সাদা, পা-বিহীন, প্রস্থে ৯.৫ মি.মি. এবং প্রস্থ ১.৯৫ মি.মি.।
ক্ষতির প্রকৃতি :
ডিম থেকে বের হওয়ার পর সদ্যজাত লার্ভা রাইজোম ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে এবং রাইজোমের অভ্যন্তরীণ অংশ খায়। আক্রান্ত গাছ হলুদ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে রাইজোমে পচন ধরে। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে গাছ থেকে কোনো ফলন পাওয়া যায় না। এ পোকা আদার রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ পোকা ডিম পাড়া এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য ছত্রাক আক্রান্ত আদা গাছ পছন্দ করে। রোগাক্রান্ত রাইজোমের মধ্যে পোকার লার্ভা এবং পিউপা দেখা যায়। এ ছাড়াও পূর্ণ বয়স্ক পোকাগুলো আদা গাছে ব্যাকটেরিয়াল উইল্টের বাহক হিসেবে কাজ করে।
জীবনচক্র :
পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী পোকা গাছের গোড়ায় মাটির ছোট ঢেলার নিচে, মাটির ফাটলে অথবা মাটিতে একটি একটি করে অথবা গুচ্ছাকারে (প্রতি গুচ্ছে ৬ থেকে ১০টি) ডিম পাড়ে। ডিমগুলো ছোট এবং সাদা। ২ থেকে ৫ দিন পর ডিম ফুটে লার্ভা বের হয়। লার্ভাগুলো ১৩ থেকে ১৮ দিন খাওয়ার পর রাইজোমের মধ্যেই পিউপায় পরিণত হয়। পিউপা ১০ থেকে ১৫ দিন পর পূর্ণ বয়স্ক পোকায় পরিণত হয়। এর জীবনচক্র সম্পন্ন হতে প্রায় ৪ সপ্তাহ সময় লাগে।
দমন ব্যবস্থাপনা :
স্বাস্থ্যবান এবং রোগমুক্ত রাইজোম বীজের জন্য নির্বাচন করতে হবে। ফসল সংগ্রহের সময় লার্ভা ও পিউপাসহ পচা রাইজোম সংগ্রহ এবং ধ্বংস করে ফেলতে হবে। গাছের গোড়ার মাটি নিয়মিত উলট-পালট করতে হবে কারণ পোকা মাটিতে ডিম পাড়ে। যেহেতু রোগাক্রান্ত রাইজোমে পোকার আক্রমণ হয় এ জন্য ফসলকে রোগমুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অত্যধিক আক্রান্ত এলাকায় আক্রমণের শুরুতে নিম্নলিখিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে- কার্বোসালফান (মার্শাল ২০ ইসি, সানসালফান ২০ ইসি, জেনারেল ২০ ইসি বা অন্য নামের) অথবা ফেনিট্রোথিয়ন (ফেনিটকস ৫০ ইসি, সুমিথিয়ন ৫০ ইসি, ইমিথিয়ন ৫০ ইসি, সোভাথিয়ন ৫০ ইসি বা অন্য নামের) প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হিসেবে।
‘পিলাই তোলা’ শব্দটি আমাদের সবার জানা। এর অন্তরালে জড়িয়ে আছে একটি ফসলের নাম।আর তা হল নীলফামারী জেলা প্রসিদ্ধ অর্থকরী মসলাও ওষুধি ফসল আদা। এ জেলা ছাড়াও দেশের দিনাজপুর, রংপুর, টাঙ্গাইল, খুলনা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি জেলায় আদার চাষাবাদ হয়। টাটকা আদায় শতকরা ২.৩ ভাগ প্রোটিন, ১২.৩ ভাগ শ্বেতসার, ২.৪ ভাগ আঁশ, ১.২ ভাগ খনিজ পদার্থ, ৮০.৮ ভাগ পানি, রেজিন ইত্যাদি উপাদান বিদ্যমান।দেশের বাৎসরিক চাহিদা ৯৬.০০০ মে.টনের মাত্র ৪৩.০০০ মে. টন আদা উৎপন্ন হয় যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।আদা চাষাবাদের প্রযুক্তিলব্ধ জ্ঞানের অভাবে কৃষক পর্যায়ে ফলস প্রতি হেক্টরে প্রায় ৩০থেকে ৪০ টনের পরিবর্তে কমিয়ে ৫.৫৪ টনে দাঁড়িয়েছে। কাজেই, উৎপাদনবাড়ানোর লক্ষে বীজ আদা শোধন প্রযুক্তি অত্যন্ত জরুরি।
আদা বীজ শোধন প্রক্রিয়া :
৭৫-৮০ লিটার পানিতে ১০০ গ্রামডাইথেন এম-৪৫ মিশিয়ে -এর মধ্যে ১০০ কেজি আদা বীজ ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতেহবে। তারপরপানি থেকে বীজ আদা তুলে ছায়ায় শুকিয়ে জমিতে লাগাতে হবে।আদা লাগানোর আগে বীজ আদাএকটি ঝুড়িতে বিছিয়ে তার উপর খড় বা চটের থলে দিয়ে ঢেকে রাখলে আদার ভ্র“ণ বের হয়।এ রকম আদা থেকে দ্রুতগাছ বের হয়।
শোধিত আদা বীজ রোপণের প্রায় ৭-৮ মাস পর ফসল পরিপক্কহয়।সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে আদা উত্তোলন করা হয়।রোপণের পূর্বে রাইজম শোধন করলে ফসল ক্ষতিকার করোগ জীবাণু ও পোকা-মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পায়। সেই সাথে বিজ্ঞানসম্মত অন্তঃপরিচর্যার মাধ্যমে ফলন লক্ষ্যমাত্রা (৩০ থেকে ৩৫ টন/ হেক্টর) পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব।
আদা উৎপাদনেবীজ শোধনপ্রযুক্তি:
কেন আদা বীজ শোধন করবেন : সাধারণত ৪৫-৫০ গ্রাম আকারের বীজ আদা এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মে মাস পর্যন্ত রোপণ করা হয়।এ ক্ষেত্রে হেক্টর প্রতি২০০০-২৫০০ কেজি আদা বীজ প্রয়োজন। আদা বীজ উত্তমরূপে শোধন না করলে রইজম রট, পাতার ব¬াইড, রাইজম ফ্লাই, প্রভৃতি রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। রাইজম রটের আক্রমণে প্রথমে আদা গাছের কাণ্ড হলুদ হয়ে যায়; রাইজম পচে সম্পূর্ণ গাছ মারা যায়। মাটির আর্দ্রতা বেশি থাকায় এবং মাঝারি বৃষ্টিপাতের জন্য ছত্রাকনাশক ¯েপ্র করেও এ রোগ দমন করা যায় না। ফলে মাঝারি উঁচু জমিতে ফসল প্রায় শূন্যের কোঠায় দাঁড়ায়। পাতায় অনেক সময় ডিম্বাকৃতির দাগ দেখা যায়।দাগের মাঝে সাদা বা ধূসর রঙ হয়। পরে আক্রান্ত পাতা শুকিয়ে যায় এবং গাছ মারা যায়।রোগাক্রান্ত রাইজম ও গাছে আদার প্রধান ক্ষতিকারক পোকা ‘রাইজমপ¬াই’ -এর আক্রমণ বাড়ে। তাইরোগ-বালাইয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে বীজ আদা শোধনের গুরুত্ব অনেক বেশি।
আদা বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব প্রয়োজনীয় মসলা ফসল হিসেবে পরিচিত। উত্তর বঙ্গে এই মসলা ফসলটির চাষের বিস্তৃতি সবচাইতে বেশী। অল্প ছায়াযুক্ত জায়গায় আদা ভাল হয়। পরিমাণে কম লাগলেও ইহা ছাড়া তরিতরকারী ইত্যাদি কল্পনা করা যায় না। এতে অনেক ঔষধি গুন বিদ্যমান। কিন্তু রোগ বালাই আদা উৎপাদনের একটি প্রধান অন্তরায়। আদার রাইজোম রট, পাতা ঝলসানো, পাতায় দাগ, ব্যাক্টিরিয়া জনিত কন্দ পঁচা ও ঢলে পড়া ইত্যাদি রোগ দেখা যায়। তবে রাইজোম রট আদার বেশী ক্ষতি করে। এই রোগসমূহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ফলন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। তাই আদার কয়েকটি মারাত্মক রোগের লক্ষন, কারণ ও প্রতিকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
১। রোগের নাম :
কন্দ পঁচা (Rhyzome rot)
রোগের কারণ:
পিথিয়াম এফানিডারমেটাম (Pythium aphanidermatum) নামক ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া ও রাইজোম ফাইও আদা পঁচার সাথে জড়িত।
রোগের বিস্তার:
আক্রান্ত রাইজোম, মাটি, পানি ও ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রোগের বিস্তার ঘটে।
রোগের লক্ষণ :
১. গাছের গোড়ায় কন্দতে প্রথমে পানি ভেজা দাগ দেখা যায়।
২. পরে ঐ স্থানে পরম পঁচন দেখা যায়।
৩. ক্রমান্বয়ে কন্দের বেশী বেশী অংশ পঁচে যায়।
৪. আক্রান্ত গাছের শিকড়ও পঁচতে শুরু করে এবং গাছ টান দিলে সহজেই উঠে আসে।
৫. আক্রান্ত কন্দ থেকে এক ধরণের গন্ধ বের হয়। এই গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে রাইজোম ফাই নামক পোকা আদায় আক্রমণ করে।
৬. গাছের উপরের অংশে পাতা হলুদ হয়ে যায়। পাতায় কোন দাগ থাকে না।
৭. হলুদ ভাবটা পাতার কিনারা দিয়ে নীচে নামতে থাকে, কিন্তু ভিতরটা তখনও সবুজ থেকে যায়।
৮. পরবর্তীতে গাছ ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে মারা যায়।
৯. রাইজোম পঁচে যাওয়ার ফলে ফলন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
রোগের প্রতিকার :
১. আক্রান্ত গাছ মাটি সহ উঠিয়ে গর্ত করে পুতে ফেলতে হবে।
২. আক্রান্ত গাছ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৩. রোগবিহীন কন্দ সংগ্রহ করে বীজ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
৪. আক্রান্ত জমিতে শস্য পর্যায় অনুসরণ করতে হবে।
৫. মাঠে যথাযথ পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৬. স্টেবল বিচিং পাউডার প্রতি হেক্টরে ২০ কেজি হারে শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
৭. রিডোমিল গোল্ড বা ব্যভিষ্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ঐ দ্রবনের মধ্যে বীজ আদা আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে শোধন করে উঠিয়ে ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে জমিতে রোপণ করতে হবে।
৮. অর্ধকাঁচা মুরগীর বিষ্ঠা (৫ টন/হেঃ) আদা বপনের ২১ দিন পূর্বে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
৯. রোগ দেখা দেওয়া মাত্রই রিডোমিল গোল্ড (০.২%) অথবা সিক্যুয়র (০.১%) ১০-১২ দিন পর পর গাছের গোড়ার মাটিতে ¯েপ্র করতে হবে।
২। রোগের নাম ঃ আদা হলুদ হওয়া (Yellows of Ginger)
রোগের কারণ ঃ ফিউজারিয়াম অক্সিমপরাসম এফ.এসপি. জিনজিবেরি (Fusarium oxysporum f. sp zingiberi) এবং ফিউজারিয়াম সোলানী (Fusarium solani) নামক ছত্রাক।
রোগের বিস্তার ঃ আক্রান্ত রাইজোম, মাটি, পানি ও ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রোগের বিস্তার ঘটে।
রোগের লক্ষণ:
১. আদার নিচের পাতার কিনারায় হলুদাভ হয়ে সম্পূর্ণ পাতায় ছড়িয়ে পড়ে।
২. আক্রান্ত গাছ উইল্ট হয়ে শুকিয়ে যায় কিন্তু গাছ হেলে পড়ে না।
৩. আদার কন্দে ভাস্কুলার সিস্টেমে ক্রিমি ডিসকারেশন দেখা যায় এবং কন্দ পচতে থাকে।
রোগের প্রতিকার:
১. আক্রান্ত গাছ রাইজোমসহ সম্পূর্ণ রুপে তুলে ধ্বংস করতে হবে।
২. বীজ আদার জন্য শুধু সুস্থ ও নিরোগ গাছ নির্বাচন।
৩. আক্রান্ত জমিতে আদা চাষ না করে অন্য ফসলের চাষ করা।
৪. জমি স্যাঁত স্যাতে ভাব রাখা যাবে না।
৫. প্রোভেক্স বা ব্যভিষ্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে ঐ দ্রবনের মধ্যে বীজ আদা আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে শোধন করে উঠিয়ে ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে জমিতে রোপণ করতে হবে।
৬. আদা লাগানোর ঠিক পূর্ব মূহুর্তে জমিতে স্টেবল ব্লিচিং পাউডার হেক্টর প্রতি ২০.০ কেজি ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
৭. রোগ দেখা দেওয়া মাত্রই ব্যভিষ্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হাবে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর গাছের গোড়ার মাটিতে ¯েপ্র করতে হবে।
৩। রোগের নাম : পাতা ঝলসানো (Leaf blight )
রোগের কারণ:
কোলেটোট্রিকাম জিঞ্জিবারিস (Colletotrichum zingiberis) নামক ছত্রাক।
রোগের বিস্তার : আক্রান্ত পাতা, বায়ু ইত্যদি।
রোগের লক্ষণ:
১. প্রথমে পাতার উপর ছোট, গোল, হালকা হলুদ বর্ণের দাগ পড়ে।
২. পরবর্তীতে অনেক গুলি দাগ একত্রিত হয়ে পাতার সমস্ত অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং পাতা ঝলসে যায়।
৩. ঝলসানো পাতার উপর বিন্দু বিন্দু কালো দাগ দেখা যায় যেগুলি ছত্রাকের অ্যাসারভূলাস।
৪. ডগা আক্রান্ত হয়ে পাতার মাঝখানটা ভেঙ্গে ঝুলে পড়তে দেখা যায়।
৫. ফলে গাছের ও রাইজোমের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
৬. আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে পাতা শুকিয়ে মারা যায়।
রোগের প্রতিকার :
১. জমির ময়লা আবর্জনা পুড়ে ফেলতে হবে।
২. রোগ প্রতিরোধী জাত নির্বাচন করতে হবে।
৩. রোগমুক্ত জমি থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
৪. শস্য পর্যাায় অনুসরণ করতে হবে।
৫. আদার কন্দ সংরক্ষণের পূর্বে প্রতি লিটার পানির সহিত ১ গ্রাম ব্যভিস্টিন মিশিয়ে ৬০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে এবং ৪৮ ঘন্টা পর সংরক্ষণ করতে হবে। আদার কন্দ লাগানের পূর্বে ও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
৬. রোগের আক্রমণ দেখা দিলে টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মিলি হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে পাতার উভয় পৃষ্ঠায় প্র করতে হবে।
উপরোক্ত রোগ ছাড়াও আদায় ৪। ব্যাক্টিরিয়া জনিত কন্দ পঁচা – আরউইনিয়া ক্যারোটোভোরা (Erwinia carotovora ) দ্বারা, ৫। পাতায় দাগ – ফাইলোস্টিক্টা জিঞ্জিবারি (Phyllosticta zingiberi ) দ্বারা এবং ৬। ঢলে পড়া – রালস্টোনিয়া সোলানেসিয়ারাম (Ralstonia solanacearum) দ্বারা হয়ে থাকে।
ড. কে, এম, খালেকুজ্জামান
Comments
Post a Comment