নাইট্রোজেনের অভাবজনিত লক্ষণঃ
- গাছের পাতা হালকা সবুজ ও হলদে হয়ে যায়।
- প্রাথমিক পর্যায়ে পুরো জমির ধান গাছ হলদে দেখায়।
- বেশি অভাবে গাছের পাতা হলদে বাদামী হয়ে যায়।
- দানা জাতীয় ফসলের কুশি ও শীষের সংখ্যা কম হয়।
- ফুল ও ফলের আকার ছোট হয়।
- ফল ও গাছের পাতা ছোট হয় এবং শুকিয়ে যায়।
- গাছের পার্শ্ব কুঁড়ি শুকিয়ে যায়।
- গাছের অন্যান্য উপাদানের পরিশোষণের হার কমে যায়।
ফসফরাসের অভাবজনিত লক্ষণঃ
- ধান গাছের পাতা খাড়া হয়, পাতা গাঢ় সবুজ বর্ণ থাকে।
- ফসফরাসের অভাবে গাছের কান্ড ও মূলের রৃদ্ধি হয় না।
- উদ্ভিদের কোষ বিভাজন হার কমে যায়।
- গাছে পাতা ছড়ানো থাকে (বাধাকপি) অর্থাৎ বাধাকপি পাতা বাঁধে না।
- উদ্ভিদে আমিষের পরিমাণ কমে যায়।
- ফুলের ও ফলের সংখ্যা কম হয় এবং আকারে ছোট হয়।
- গাছে ফুল ফল হয় না।
- বেগুনের পাতা নীলাভ হয় কিন্তু ফল ধরে না।
- দানা জাতীয় ফসলে চিটা বেশি হয়।
- বাধাকপি/ফুলকপি ফুল ও বীজ হয় না।
- গাছের পাতা অনেক সময় গাঢ় সবুজ দেখায় অথচ গাছের বৃদ্ধি বন্ধ থাকে।
- ভুট্টা গাছের পাতা নীলচে বর্ণ ধারণ করে।
- গাছে কুঁশি সংখ্যা কমে যায়।
পটাশিয়ামের ঘাটতিজনিত লক্ষণঃ
- গাছের পাতার কিনারা পুড়ে যাওয়ার মত দেখায়্।
- উদ্ভিদ সহজেই রোগাক্রান্ত হয়।
- উদ্ভিদে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ বাড়ে।
- পুরা জমিতে ধানের পাতা বাদামি হয়ে যায়।
- সালোকসংশ্লেষণের হার হ্রাস পায়।
- গাছ সামান্য খরাতেই নেতিয়ে পড়ে।
- গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, তবে পাতা সবুজ থাকে।
- গাছের পাতা বাদামি বর্ণ ধারণ করতে থাকে।
- শিকড়ের বৃদ্ধি ঘটে না।
- অধিক ঘাটতিতে পাতা বিবর্ণ ও বাদামি হয়ে যায়।
- পাতার উপর মরা দাগ পড়ে।
- টমেটো ফেটে যায়।
ক্যালশিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণঃ
- কচি পাতার অগ্রভাগ মুড়িয়ে থাকে।
- গাছের ডগায় বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।
- বেগুনের পাতায় কুঁকড়ে যাওয়ার মত দেখায়।
- পাতা ও কান্ডের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়।
- গাছ টান দিলে সহজেই মাটি থেকে শিঁকড় ছিড়ে উঠে আসে।
- মরিচের ও ফুলকপির পাতা মুড়িয়ে যায়।
- ডাল ফসলের ফলন কমে যায়।
- শিমের পাতা বিকৃত হয়ে যায়।
- দানা বীজে পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়।
- মাঠ থেকে তোলা শাকসবজি অল্প সময়ের মধ্যে নেতিয়ে পড়ে।
- শাক-সবজির উজ্জলতা বিনষ্ট হয়।
ম্যাগনেশিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণঃ
- গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।
- গাছের আন্তঃশিরাস্থান সমূহ বিবর্ণ হয়ে যায়।
- ফলের আকার ছোট হয়।
- আখ গাছের পাতার সংখ্যা কম হয়।
- গোল আলুতে সালোক-সংশ্লেষণের হার খুবই কমে যায়।
- গাছ সজীবতা ও উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে।
- ডাল ফসলে গুটির সংখ্যা কমে যায়।
- দানার আকার ছোট হয়।
- রোগ, পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়।
সালফারের অভাবজনিত লক্ষণঃ
- গাছের কচিপাতা হলদে হয়। পরবর্তীতে পুরাতন পাতা হলদে হতে থাকে।
- উদ্ভিদ কোষের বিভাজন বিঘ্নিত হয়ে গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।
- গাছের আকার খর্ব হয়।
- জমিতে গাছ হালকা সবুজ বর্ণ ধারণ করে।
- গাছের কান্ডে সজীবতার বদলে শুস্কতা দেখা দেয়।
- তোলা শাক-সবজি অল্প সময়ের মধ্যে নেতিয়ে পড়ে।
- ধানের কচি পাতা বিবর্ণ হয়।
- ফসলের পরিপক্কতা বিলম্বিত হয়।
- তৈলবীজ জাতীয় ফসলেন ফলন কমে যায়।
- সরিষা গাছে ফলের সংখ্যা কম হয়।
- পেঁয়াজের আকার ছোট হয়।
মো. সাইফুল রাজা
Comments
Post a Comment