Skip to main content

কক্সবাজার, ইনানী, সেন্টমার্টিন ,ছেঁড়াদ্বীপ, মহেশখালী, সোনাদিয়া দ্বীপ ও কুতুবদিয়া


কক্সবাজার
বিশ্বের সবচাইতে বড় সমুদ্রসৈকত এটি। সড়কপথে ঢাকা থেকে প্রায় সাড়ে চারশ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দূরে রয়েছে নয়নাভিরাম এ সমুদ্র সৈকত। এখানকার সমুদ্রের পানিতে বড় বড় ঢেউয়ের মাঝে গোসল, সূর্যাস্তের মনোহারা দৃশ্য সকল পযটকের মূল আকর্ষণ।  কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণের শুরুটা হতে পারে লাবনী পয়েন্ট থেকে।  সকাল বেলা বের হলে এ সৌন্দর্যের সাথে বাড়তি পাওনা হবে নানান বয়সী জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য। শুধু সমুদ্র সৈকতই নয়, কক্সবাজার শহরের বৌদ্ধ মন্দির, বার্মিজ মার্কেট, হিলটপ রেস্টহাউস ইত্যাদি কক্সবাজার ভ্রমণের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান।  কক্সবাজারে থাকার জন্য এখন অনেক আধুনিক হোটেল মোটেল রয়েছে। ৪ স্টার হোটেল থেকে শুরু করে কম দামি বিভিন্ন মোটেলও রয়েছে। ২০,০০০টাকার হোটেল যেমন রয়েছে, তেমনি একটু পিছন দিকে মাত্র ৫০০টাকার হোটেলে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
ইনানী সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি পাড় হয়ে আরও ৮কি.মি পূবে রয়েছে আরেক আকর্ষণ সৈকত ইনানী, যাকে বলা হয়, মিনি সেন্টমার্টিন। এখানে রয়েছে বিস্তীর্ণ পাথুরে সৈকত। সমুদ্র থেকে ভেসে এসে এখানকার ভেলাভূমিতে জমা হয়েছে প্রচুর প্রবাল। কক্সবাজার থেকে এখানে পৌছতে রিজার্ভ জীপ নিলে লাগবে ১৮০০-২৫০০ টাকা। ব্যাটারি চালিত রিকশা নিয়েও সারাদিনের জন্য ঘুরলে ভাড়া পড়বে ৮০০-১০০০টাকা।
মহেশখালী দ্বীপ
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। এখানে দেখার মূল আকর্ষণ  বিখ্যাত  আদিনাথ মন্দির । এছাড়াও এখানে রয়েছে খুবই মনোরম একটি বৌদ্ধ মন্দির। আঁকাবাঁকা সিঁড়ি ভেঙ্গে আদিনাথ পাহাড়ের চূড়ায় উঠলেই পাওয়া যাবে বিখ্যাত আদিনাথ মন্দির। এ দ্বীপের দক্ষিণে রয়েছে বিস্তীর্ণ সাগর আর পশ্চিমে বিশাল বিশাল পাহাড়। এখানে থাকার ব্যবস্থা নাই। কক্সবাজার থেকে সকালে গিয়ে এ দ্বীপটি ভালো করে দেখে আবার বিকেলের মধ্যেই ফেরা সম্ভব। কক্সবাজার ট্রলার ঘাট থেকে মহেশখালী যেতে পারেন স্পিড বোটে, সময় লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট, সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে ১৫০ টাকা  অথবা ইঞ্জিন বোটে, যেতে লাগবে ১ ঘন্টা, এ ক্ষেত্রে ভাড়া লাগবে ৩০টাকা।
সোনাদিয়া দ্বীপ
কক্সবাজারে আরেকটি আকর্ষণীয় দ্বীপের নাম সোনাদিয়া। শীতে প্রচুর অতিথি পাখির দেখা মেলে এখানে। প্রায় ৪৬৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ দ্বীপটিতে কক্সবাজার থেকে ইঞ্জিন বোটে গিয়ে আবার সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসা সম্ভব।
কুতুবদিয়া
কক্সবাজার জেলার আরেকটি দর্শনীয় স্থান কুতুবদিয়া দ্বীপ, যার আয়তন প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার। এ দ্বীপের দর্শনীয় স্থান হলো বিখ্যাত প্রাচীন বাতিঘর, কালারমা মসজিদ এবং কুতুব আউলিয়ার মাজার। কক্সবাজারের কস্তুরী ঘাট থেকে কুতুবদিয়া স্পিডবোটে মাত্র ৪৫ মিনিটে যাওয়া যায়, যার ভাড়া ১৫০-২০০টাকা কিংবা খরচ বাচাতে যেতে পারেন ইঞ্জিন বোটে। এক্ষেত্রে সময় লাগে ২ ঘন্টার মতো আর ভাড়া ৫০-৭০ টাকা।
টেকনাফ
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের ভূমি টেকনাফ, কক্সবাজার থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৮৫ কি.মি.। টেকনাফ হচ্ছে পাহাড়, নদী আর সমুদ্রের অনণ্য এক মিলনস্থল। চারিদিকে পাহাড় তার পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া নাফ নদী। যেকারও ভাল লাগতে বাধ্য। এখানকার সৈকতকে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন সৈকত। এখানকার দর্শণীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে,  ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ,শাহ পরীর দ্বীপ, কুদুম গুহা, টেকনাফ নেচার পার্ক । কক্সবাজার থেকে বাসে করে টেকনাফে যেতে ভাড়া লাগে ৮০-১২০টাকা অথবা মাইক্রোবাসে করে যেতে ভাড়া লাগে ১০০-১৫০ টাকা।
সেন্টমার্টিন দ্বীপঃ

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমারের উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায়। বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়ে থাকে। এ দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল ১৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ১৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ ২৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, চার প্রজাতির উভচর ও ১২০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। মাছের মধ্যে রয়েছে পরী মাছ, প্রজাপতি মাছ, বোল কোরাল, রাঙ্গা কই, সুঁই মাছ, লাল মাছ, উড়ক্কু মাছ ইত্যাদি। কোনো কোনো পর্যটক ধারণা করেন,সেন্ট মার্টিন বিশ্বের সেরা দ্বীপের একটি। টেকনাফ থেকে জাহাজে করে ২.৫০ ঘন্টা ভ্রমন করে যেতে হয় সেন্টমার্টিনে। জাহাজের আসা-যাওয়ার ভাড়া পড়বে ৯০০-১৫০০টাকা। সেন্টমার্টিনে হোটেল ভাড়া পড়বে ৫০০ – ২০০০টাকা। এখানে গেলে রাত্রিযাপন না করলে আসল মজা পাওয়া যাবেনা। এখানে গিয়ে পযটকরা প্রচুর মাছ এবং ডাব খেয়ে থাকে।
ছেঁড়াদ্বীপ:

পরদিন ছেঁড়াদ্বীপে যাত্রা , সালাম ভাই এর বোটে উঠেই সমুদ্র কি জিনিষ টের পেলাম , একটু পরে তাল সামলে নিলে উনি আমার হাতে বোটের হাল ধরতে দিলেন , ঢেউ বাদিকে আসলে হাল বামে নিতে হবে কিছুতেই উলটা দিকে না , উফফফফ বেপার টা সহজ না, বোটে যেতে ছোট নৌকার মাঝি দের ২০+২০ টাকা দিয়ে হয় , কারণ বড় বোট তীরে আসে না , সাবধান খালি পায়ে নামলেই পা কেটে যেতে পারে , প্রবাল পাথর অনেক ধারাল , ছেড়াদিয়া আসতেই যেন , ধরা র অনেকটা সুন্দর রূপ দেখতে পেলাম , যেটা বলে বোজানো যাবে না । তবে আরও একটু রোমাঞ্চ এর জন্য স্কুবা ডাইভিং ও স্নোরকেলিং দুটোই করা যাবে। পানির গভীরে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে পুরোদস্তুর তৈরি হয়ে তবেই স্কুবা ডাইভিং করা যাবে। এ জন্য সাঁতার জানতেই হবে। অন্য দিকে স্নোরকেলিংয়ের জন্য অতটা প্রস্তুতির দরকার নেই। চোখ ও নাক ঢাকার মাস্ক হলেই চলবে। পানির খুব একটা গভীরেও যেতে হবে না। হেঁটেই পানির নিচে সব কিছু দেখতে পারবেন। সাঁতার না জানলেও চলে। তবে স্নোরকেলিংয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো ছেঁড়াদ্বীপ। এর জন্য সেন্ট মার্টিন থেকে ট্রলারে করে যেতে হবে ছেঁড়াদ্বীপে। ওশেনিক স্কুবা ডাইভ সেন্টার এবং ঢাকা ডাইভারস ক্লাব সাহায্য করবে রোমাঞ্চকর এ দুটি অভিযান করার জন্য। স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য খরচ পড়বে পাঁচ হাজার টাকার মতো। স্নোরকেলিংয়ের জন্য লাগবে দুই হাজার টাকার মতো। তবে দরদাম করলে এর কমেও পাওয়া যেতে পারে।ছেঁড়াদ্বীপে কোনো মানুষ বসবাস করে না, জেলেরা দিনের বেলা মৎস্য আহরণ করে এবং রাতে স্বগৃহে ফেরে । ছেড়াদিয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কাঁচস্বচ্ছ জল আর প্রবাল পাথর। কোন এক হারামির দল মনে হয় কেয়া বনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল , তার চিহ্ন দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। এ দ্বীপের চারিদিকের জল এত স্বচ্ছ যে,অনেক গভীরে অবস্থানরত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, প্রবাল ও সামুদ্রিক শৈবাল খালি চোখে স্পষ্ট দেখা যায়।এমন অপরূপ দৃশ্য অবলোকনের সুযোগের জন্য ছেঁড়াদিয়া মানূ্যের নিকট অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত। এখানে দক্ষিণ দিকে তাকালে আপনি বাংলাদেশ এর শেষ পাথর/মাটি ও দেখতে পাবেন

Comments

Popular posts from this blog

ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়?

কোন শাক-সবজি ও ফলের কী ভিটামিন?

গবাদি পশুর রোগ ও তার প্রতিকার

কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ

মুসলিম জীবনের আদব-কায়দা