Skip to main content

অল্প টাকায় ইলেক্ট্রনিক্স তৈরির ব্যবসা


"বিদ্যুতের ব্যবহার খুব বিস্তৃত হওয়ায় সব জায়গাতেই কমবেশি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির বাজার আছে। গ্রাম অথবা শহরের পাইকারি দোকানদারদের কাছে পণ্য বিক্রি করা যায়। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী নিজেদের পণ্য নিজেরাই বিক্রি করেন। খুচরা বিক্রি তেমন একটা হয় না। বিক্রির আগে বাজারের অন্যান্য পাইকারের কাছে দাম যাচাই করে নিতে হবে। বর্তমানে বিদ্যুতের ব্যবহার পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের সর্বত্রই বিদ্যুতের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এসব কারণে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির চাহিদাও বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরি মোটামুটি একটি লাভজনক ব্যবসা। "

বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরি 

বর্তমানে বিদ্যুতের ব্যবহার পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের সর্বত্রই বিদ্যুত ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব কারণে বাজারে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরি  মোটামুটি একটি লাভজনক ব্যবসা। এ যন্ত্রপাতিগুলো বাংলাদেশে দু’ভাবে তৈরি হয় :
  1. বড় আকারের উদ্যোক্তাদের দ্বারা উন্নত কারিগরি ব্যবস্থায় বাণিজ্যিক উৎপাদন
  2. মাঝারি উদ্যোক্তাদের দ্বারা অল্প পরিসরে ব্যবসায়িক উৎপাদন
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরির ব্যবসায় একজন মাঝারি ধরণের ব্যবসায়ী ভালো আয় করতে পারবেন, কারণ এখানে তুলনামূলকভাবে প্রতিযোগিতা কম এবং উৎপাদন প্রক্রিয়াও সহজ।

বাজার সম্ভাবনা  
বিদ্যুতের ব্যবহার খুব বিস্তৃত হওয়ায় সব জায়গাতেই কম-বেশি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির বাজার আছে। গ্রাম অথবা শহরের পাইকারি দোকানদারদের কাছে পণ্য বিক্রি করা যায়। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী নিজেদের পণ্য নিজেরাই বিক্রি করেন। খুচরা বিক্রি তেমন একটা হয় না। বিক্রির আগে বাজারের অন্যান্য পাইকারের কাছে দাম যাচাই করে নিতে হবে।
মূলধন 
আনুমানিক ১৫০০০০ টাকা মূলধন নিয়ে  বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরি ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এ ব্যবসা শুরু করতে যদি নিজের কাছে প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকে তবে ঋণ দানকারী ব্যাংক(সোনালী ব্যাংকবাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক,জনতা ব্যাংক , রূপালী ব্যাংকঅগ্রণী ব্যাংক) বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (আশা , প্রশিকাগ্রামীণ ব্যাংকব্রাক) থেকে শর্ত সাপেক্ষে স্বল্প সুদে ঋণ নেয়া যেতে পারে।
প্রশিক্ষণ
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরির ব্যবসার ক্ষেত্রে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে ব্যবসার বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইজ ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন এই ব্যবসার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গ্রুপ ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান :

স্থায়ী উপকরণ 
পরিমাণ/সংখ্যা 
আনুমানিক মূল্য (টাকা) 
প্রাপ্তিস্থান 
এঙ্গেল বার টেবিল (৮ ফুট লম্বা)
১টি
৪০০০
আসবাবপত্রের দোকান থেকে/মিস্ত্রি দিয়ে বানিয়ে নেয়া যায়
টুল
১টি
৫০০
চৌকি
২টি
১২০০

বেকেলাইট মেশিন

১টি
২৮০০০
লেদ কারখানা

কাটার মেশিন

১টি
৭০০০
মেশিনারিজ দোকান

বেঞ্চ ড্রিল মেশিন

১টি
৯০০০
মেশিনারিজ দোকান

গ্রাইন্ডিং মেশিন

১টি
৩০০০
মেশিনারিজ দোকান

মটর

১টি
৭০০০
মেশিনারিজ দোকান

বব মেশিন

১টি
৪০০০
মেশিনারিজ দোকান

টপ মেশিন

২টি
১০০০
মেশিনারিজ দোকান

ইলেকট্রিক ফ্যান

২টি
৫০০০
মেশিনারিজ দোকান

হ্যান্ড টুলস

১ সেট
৪৫০০
মেশিনারিজ দোকান

ডাইস

৬টি
৪০০০০
মেশিনারিজ দোকান
                                                        মোট=১১৪২০০ টাকা

 

কাঁচামাল (৬০০ ডজন পণ্য উৎপাদনের জন্য):

উপকরণ 
পরিমাণ/সংখ্যা 
আনুমানিক মূল্য (টাকা) 
প্রাপ্তিস্থান 
বেকেলাইট পাউডার (কালো)
২৫ কেজি
২৫০০
ইলেকট্রিক্যাল কাঁচামালের দোকান
বেকেলাইট পাউডার (সাদা)
৫০ কেজি
৫০০০
ইলেকট্রিক্যাল কাঁচামালের দোকান
পাতি
২৪০০ পিস
৩০০০
ইলেকট্রিক্যাল কাঁচামালের দোকান
পিতল
৪০ কেজি
৬৮০০
ইলেকট্রিক্যাল কাঁচামালের দোকান
স্প্রিং
৫০০০ পিস
৬০০
ইলেকট্রিক্যাল কাঁচামালের দোকান
দোলনা ব্রীজ
৩০০০
২৪০০
ইলেকট্রিক্যাল কাঁচামালের দোকান
স্ক্রু
১২ প্যাকেট
১৬৮০
ইলেকট্রিক্যাল কাঁচামালের দোকান
বব ক্লথ
৫টি
৫০০
ইলেকট্রিক্যাল কাঁচামালের দোকান
তেল
৩ কেজি
৩০০
ইলেকট্রিক্যাল কাঁচামালের দোকান
                                              মোট= ২২,৭৮০ টাকা

অন্যান্য খরচ:

বিবরণ 
পরিমাণ 
আনুমানিক মূল্য (টাকা) 
কাঁচামাল পরিবহন

১২০০
বিক্রয় পণ্য পরিবহন

১৫০০
মোড়ক/প্যাকেজিং
প্রতি প্যাকেট ৫টাকা হারে
৩০০০
ঘর ভাড়া

৪০০০
বিদ্যুত বিল

১৫০০
রক্ষণাবেক্ষন

১০০০
                                                     মোট= ১২,২০০ টাকা
 বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরি পদ্ধতি:
১ম ধাপ
ব্যাকেলাইট মেশিনের পাশে একটি পাত্রে পাউডার রাখতে হবে।

২য় ধাপ
এরপর নির্দিষ্ট ডাইস মেশিনের প্লেটে সেট করতে হবে।

৩য় ধাপ
পাত্র থেকে পরিমাণমত পাউডার নিয়ে ডাইসে ঢালতে হবে।

৪র্থ ধাপ
তারপর মেশিনের হাতল ঘুরিয়ে ডাইসের উপর চাপ দিতে হবে।

৫ম ধাপ
চাপ প্রয়োগ করার পর মেশিনের হাতল ঘুরিয়ে ডাইস বের করে আলাদা করতে হবে।

৬ষ্ঠ ধাপ
তারপর ভিতরের উৎপাদিত পণ্যটি বের করে আনতে হবে।

৭ম ধাপ
পণ্যের বাড়তি অংশ কাটিং মেশিনের সাহায্যে কাটিং করতে হবে।

৮ম ধাপ
এরপর ড্রিল মেশিনের সাহায্যে প্রয়োজন অনুসারে ছিদ্র করতে হবে।

৯ম ধাপ
ছিদ্র করার পর পণ্যটিকে সুন্দর করার জন্য বব মেশিনের সাহায্যে ফিনিশিং করতে হবে।

১০ম ধাপ
ফিনিশিং করার পর স্ক্রু, পিতল, দোল ব্রীজ (যেটা প্রযোজ্য) দিয়ে ফিটিং করতে হবে।

১১তম ধাপ
এরপর পণ্যটি সম্পূর্ণভাবে প্রস্ত্তত হবার পর প্যাকেটজাত করতে হবে।
 

আনুমানিক
 আয় ও লাভের পরিমাণ 
পুরানো ঢাকার হাসমত মিয়ার কাছ থেকে মাঠ গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়
তিনি মাসে ৪৮০০০-৪৯০০০ টাকা আয় করেন। তার মাসিক খরচ ৩৮০০০-৩৮৫০০ টাকা। অর্থাৎ মাসে তার লাভ হয় ১০০০০-১০৫০০ টাকা। সময় ও স্থানভেদে লাভ কম বা বেশি হতে পারে। 
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা, নভেম্বর ২০০৯।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরি ব্যবসায় মেশিন ও অন্যান্য য্ন্ত্রপাতির প্রয়োজন। এ স্থায়ী উপকরণগুলো একবার কিনলে অনেকদিন ধরে কাজ করা যাবে। ব্যবসার শুরুতেই এ খরচটি করতে পারলে পরবর্তীতে শুধু কাঁচামাল কিনে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব।
আমরা যারা আমাদের আয় বাড়াতে চাই, তারা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু করতে চাই, বা যারা এখনো কিছু করতে পারছেন না, তারা কিছু শুরু করতে চান অল্প টাকায়, তাদের জন্য আমার কিছু অল্প টাকায় ব্যবসার আইডিয়া মাথায় গুর পাক খাচ্ছে, (আমি চাকুরির পাশা পাশি করি)তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম, প্লিজ ঠাণ্ডা মাথায় একটু পড়ে বুঝে দেখুন, আপনার না হলেও আপনার আসে পাশের কারো কাজে লাগতে পারে।

আপনি প্রথমেই অল্প টাকায় ২০ - ৩০ হাজার টাকায় শুরু করতে পারেন - ইলেকট্রিক + ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবসা।

- যেমন -টর্চ লাইট, চার্জ লাইট, চার্জার ফ্যান, এমপ্লিফায়ার সার্কিট, সুপারগ্লু, সিলিং ফ্যান এর ক্যাপাসিটোর, ভলিয়ম সার্কিট, LED লাইট, মোটর সাইকেলের বেয়ারিং, সিলিং ফ্যানের বেয়ারিং, সুইচ, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, মিনি IPS ইত্যাদি -


এই দরনের প্রোডাক্ট এর কেনা দাম এর চেয়ে প্রায় ২ -৩ গুন বেশি দামে বিক্রি করা যায়। প্রথমে আপনার আত্মীয় স্বজন দের কাছে বিক্রি করা শুরু করেন, পরে আস্তে আস্তে আপনার এলাকায়, তার পরে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি শুরু করতে পারেন। এতে আপনার ও ভালো কিছু ইনকাম হবে।



আমাদের দেশে যে হারে লোড শেডিং হচ্ছে, বার বার কারেন্ট আসার কারনে অতিরিক্ত হাই ভোল্টেজ হচ্ছে এতে করে আমাদের ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলোর অনেক ক্ষতি হচ্ছে, এর হাত থেকে বাচতে হলে আমাদের এই ডিভাইস গুলোর সুরক্ষার জন্য Voltage Stabilizer ব্যবহার করা অতি গুরুত্ব পুর্ন।

তাই আপনার আত্মীয় স্বজন দের কাছে এই Voltage Stabilizer বিক্রি করতে পারেন। ভালো ইনকাম করতে পারেন।

আপনি প্রথমেই অল্প টাকায় ২০ - ৩০ হাজার টাকায় শুরু করতে পারেন - সাইকেল এর মোটর সেটআপের এর ব্যবসা।



অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও এখন সাইকেলে মটর লাগানোর দুম পরে গেছে। এখন অনেকেই কম খরছে তার বাই সাইকেল কে ইলেকট্রিক সাইকেলে রূপান্তরিত করে ফেলছেন।


এতে করে চলা ফেরায় অনেক সুবিধা হচ্ছে, এই মটোর সেটাপের জন্য একটি মটর + ব্যাটারি লাগালেই কাজ শেষ, সেটাপ ও সহজ, একবার চার্জ দিলে চলেও ৪০-৫০ কিলোমিটার। চার্জ খরচ ও অনেক কম, মাত্র ৫-১০ টাকা।


আপনি প্রথমেই অল্প টাকায় ২০ - ৩০ হাজার টাকায় শুরু করতে পারেন - রিক্সা এর মোটর সেটআপের এর ব্যবসা।



নরমাল রিক্সা গুলোতে এখন ইলেকট্রিক মোটর লাগানোর ব্যাবসাও হচ্ছে, সহজেই সেট আপ করতে পারেন এই মোটর।


এছারা রিক্সার বিভিন্ন লাইট, টিট হর্ন, মিউজিক হর্ন, লেচু লাইট, মিউজিক লাইট, ব্যাটারি, পিনিয়াম, চার্জার, মোটর ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন, লাভ ভালোই।

এছাড়া আরও অনেক কিছুই বর্তমানে করতে পারেন, বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী অনেক ব্যবসাই আছে আমাদের চারি দিকে, একটু খুঁজ নিলেই করতে পারেন কম টাকায় ব্যাবসা, আরও কিছু জানার থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যতদূর পারি সাহায্য করবো।
http://mahaditrade.blogspot.com/2015/11/small-business-can-make-money.html

Comments

  1. আমি ব্যবসা করতে চাই পাইকারি বাজার কোথায় যানতে চাই

    ReplyDelete
  2. ঢাকার নবাবপুর ও পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলি

    ReplyDelete
  3. আমি ব্যাবসাহ করতে চাই..! মেশিন এবং কাচামালের দোকান কোথা??

    ReplyDelete
  4. আমাদের জীবিকা যোগাতে আমাদের অর্থের প্রয়োজন হয়। আমরা অর্থ আয়ের উৎস হিসেবে অনেক পেশা নির্বাচন করে থাকি তার মধ্যে ব্যবসা অন্যতম। প্রাচীন যুগ থেকে ব্যবসা একটি জনপ্রিয় ও লাভজনক পেশা। এটা সত্য যে ব্যবসা শুরু করতে পুঁজি লাগে, তবে কিছু ব্যবসা আছে যেগুলো আপনি খুব কম পুঁজিতে শুরু করতে পারেন। যেমনঃ ১০০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকায় কিছু ব্যবসা শুরু করা যায়। কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা একটি প্রতিষ্ঠানিক ধারণা, যা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য অপার সম্প্রদায়িক উপকার করেছে। প্রায় প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন অপার পুঁজির পরিমাণ না থাকলেও, তাদের লাভজনক ব্যবসা আর পুঁজি না থাকলেও প্রয়োজনীয় ব্যাপার আরও কম পুঁজি দিয়েই হয়।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়?

কোন শাক-সবজি ও ফলের কী ভিটামিন?

গবাদি পশুর রোগ ও তার প্রতিকার

কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ

মুসলিম জীবনের আদব-কায়দা