Skip to main content

ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর মেশিন



যারা অল্প টাকায় ব্যবসা করবেন ভাবতেছেন, তারা এই লাভ জনক ব্যবসাটি করতে পারেন, কথা দিচ্ছি ইনভেস্ট এর টাকা উঠে আসবে লাভ সহ কয়েক গুন হয়ে, তাও খুভি অল্প সময়ে।

এখন ৫-১০ লক্ষ্য টাকা কোন টাকাই না, সবার কাছেই থাকে, তাই এই টাকায় আপনি শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। ব্যবসাটা আর কিছুই না, এটা হচ্ছে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর মেশিন ইনকিউবেটর নিয়ে । হে আজকে আমার পোস্ট টি হচ্ছে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর মেশিন ইনকিউবেটর নিয়ে ।

যারা দেশে কিছু না করতে পেরে দেশের মায়রে বাপরে তুলে গালা গাল দিচ্ছেন, তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট।

শুরু করতে পারেন প্রথমে একটি ৫০০০ কেপাসিটির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর মেশিন ইনকিউবেটর দিয়ে, এই ইনকিউবেটর এ বাচ্ছা ফোটালে বিদ্যুৎ এর বিল প্রতি বাচ্চার হিসেবে পরবে মাত্র ৫০ পয়সা। তাই খুবি সাশ্রয়ী।

একবার ৫০০০ বাচ্চা উৎপাদনে বিদ্যুৎ খরচ হয় মাত্র ৩০০০- ৩৫০০ টাকা,

বাচ্চার জন্য ডিম কিনতে হবে, প্রতি ডিম যদি আপনি ২০ টাকা করে কেনেন তাহলে ৫০০০ x ২০ = ১০০০০০ টাকা মাত্র।

তাহলে বিদ্যুৎ বিল এর জন্য খরচ যাবে ৩৫০০ টাকা
ডিম কেনার জন্য খরচ যাবে ১০০০০০ টাকা (ডিম নিজেই উৎপাদন করলে খরচ অনেক কম)

তাহলে আপনি একবার ৫০০০ বাচ্চা উৎপাদন করতে খরচ হবে মাত্র ১০৩৫০০ টাকা মাত্র।



চিত্র- ৩: ডিম থেকে বাচ্ছা ফুটতে লাগে ২১ দিন 

আর বাচ্চা বিক্রি করতে পারবেন বর্তমান রেট অনুযায়ী ৭৫-৯৫ টাকা পর্যন্ত, তাহলে কিছু ডিম নস্ট হয়ে গেলেও মোট বাচ্চা পাবেন ৪৮০০ - ৪৯০০ এর মতো, আর বিক্রি করলেন মাঝা মাঝি রেটে, মানে ৮০ টাকায়। তাহলে -

৪৮৫০ বাচ্চা বিক্রি করলেন ৮০ টাকা করে মোট - ৪৮৫০ x ৮০ = ৩৮৮০০০ টাকায় ( বাজার হিসেবে কম বেশি হতে পারে )

চিত্র ৪: বাচ্ছা বিক্রির জন্য প্রস্তুত।

বিক্রি করলেন   ৪৮৫০ বাচ্চা                                       ৩৮৮০০০ টাকা
তাহলে আপনার ৫০০০ বাচ্চার উৎপাদন খরচ ছিলো      - ১০৩৫০০  টাকা
অন্যান্য খরচ দরেন আরো                                           -   ১০০০০ টাকা
                                                                           -------------------------
তাহলে বাকি থাকবে ২৭৪৫০০ টাকা লাভ তাও মাত্র ২১ দিনে। 
তাহলে আপনার লাভ হবে ২৭৪৫০০ টাকা, তাও মাত্র ২১ দিনে।

এই ইনকিউবেটর দিয়ে সব ধরনের ডিম ফুটানো যায়। ফুল ওটোমেটিক তাই বাচ্ছা হওয়ার হার বেশি, ৮০-৯৫।

তাই প্রাইজ একটু বেশি, সাথে সার্ভিসিং ফ্রি ২ বছরের।

বাচ্চা বিক্রি:
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বাচার চাহিদা প্রচুর, আপনার এলাকায় খুজ নিলেই দেখবেন ফার্ম আছে, তারাই কিন্তু বাচ্চা কেনে, তাদের সাথে আলাপ করে বাচ্ছা সাপ্লাই দিন, তাহলে তারাও আপনার কাছ থেকে কিনবে কারন তারা সহজেই বাচ্চা পেয়ে যাবে।

আপনার এলাকার বা থানার এলাকার ডিলার দের সাথে, তারাই আপনার বাচ্চা কিনে নিবে, তাও বাচ্চা হওয়ার আগেই।

তাই আপনার বাচ্চা বিক্রি নিয়ে চিন্তা না করলেও হবে। ব্যবসায় নামলে অনেকেই আপনাকে এডভান্স দিয়ে রাখবে। তাই নো চিন্তা ডু ফুরতি।

দেশের বাহিরে কামলা গিরি না করতে গিয়ে, দেশেই শুরু করুন এই ব্যবসা। আর আপনিই হয়ে জান আপনার প্রতিষ্ঠানের মালিক।শুরু করুই এই ব্যবসা, হ্যাল্প লাগলে আমায় বলতে পারেন, আমি যথাসম্ভব হ্যাল্প করতে প্রস্তুত।

মেহেদী হাসান
 এম টি ট্রেড
০১৯৭৭৮৮৬৬৬০
http://www.mahaditrade.com

Comments

Popular posts from this blog

ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়?

কোন শাক-সবজি ও ফলের কী ভিটামিন?

গবাদি পশুর রোগ ও তার প্রতিকার

কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ

মুসলিম জীবনের আদব-কায়দা