Skip to main content

মাল্টা চাষে সাখাওয়াতের সফলতার গল্প

সাখাওয়াতের সফলতায় হতবাক সবাই



অসম্ভবকে সম্ভব করে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার মাটিতে মালটা চাষ করছেন কৃষক সাখোয়াত হোসেন। সাড়ে ২৮ বিঘা জমিতে মালটা চাষ হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও মালটা চাষে সফলতা পেয়েছেন তিনি। নিজের সন্তানের মত করেই মালটা গাছ লালন-পালন করছেন। পাহাড়সম পথ পাড়ি দিয়ে এখন সফলতার দার প্রান্তে। প্রায় দেড় কোটি টাকার মালটা বিক্রির সম্ভবনা রয়েছে এ মৌসুমে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কেউই এখনও পর্যন্ত খোঁজ নেননি, সহযোগিতা তো দুরের কথা। মালটা বাগানে ১৫ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন।


জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়ানের ভগিরথপুর গ্রামের পুরাতন পাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে সাখোয়াত হোসেন বাবলু। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্য বড় তিনি। ২০১৩ সালের প্রথম দিকে খুলনা কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউট থেকে দুই হাজার টাকা দিয়ে ২০টি বারি মালটা-১ জাতের গাছ কেনেন। গাছগুলো প্রথমে ১৪ কাঠা জমিতে রোপন করেন গ্রামের হেমায়েতপুর মাঠে। গাছ লাগানোর এক বছর পর তিনি গাছগুলো কলম করে চারা গাছ তৈরি করেন। এরপর গ্রামের পাঁচজন কৃষকের কাছ থেকে ১২ বছরের জন্য বিঘা প্রতি বছরে আট হাজার টাকায় লিজ নেন সাড়ে ২৮ বিঘা জমি।


লিজ নেয়া জমিতে প্রায় তিন হাজার কলম মালটার চারা গাছ রোপন করেন। গাছ লাগানোর দুই বছর পর ফুল আসতে শুরু করে। গাছের ডালে ডালে মালটা ফলে ভরা। প্রতি বিঘা জমিতে বছরে ৫৫-৬০ মণ মালটা ফল পাওয়া যাবে। যা বিক্রি হবে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকায়।

মালটার ফলন ভালো হলে বছরে দেড় কোটি টাকার ফল বিক্রি হবে। প্রতি কেজি মালটা ১৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মালটা বাগান করতে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। উচুঁ জমিতে মালটা গাছ রোপন করতে হয়। বাগানে রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার বেশি ব্যবহার করা হয়। ৫-৬ হাত দুরত্বে গাছের চারা রোপন করতে হয়। একটি মালটা গাছ থেকে বছরে ৩০০-৩৫০টি ফল পাওয়া যায়। মালটা ফল খেতে সুস্বাধু। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। মালটা বাগানে ১৫ জন শ্রমিক ২৫০ টাকা দিন হাজিরায় কাজ করছেন।

তিনি জানান, যখন গ্রামে মালটা বাগান করি তখন গ্রামের মুরুব্বিরা বলতেন সাখোয়াত পাগল। কারণ ধান,পাট ও গম চাষ করাই কঠিন সেখানে মালটা চাষ পাগলামি। এখন তার সফলতা দেখে সবাই আশ্চর্য! কাছে ডেকে শুনতে চায় পাগলের গল্প।



বাগানের শ্রমিক নুর ইসলাম, হারান আলি ও হাচান বলেন, মালটা বাগানে কাজ করে পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতা দুর হয়েছে। আগে বছরে কিছু নির্দিষ্ট সময় কাজ থাকতো। যার কারণে সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকতো।

নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম জানান, সাখোয়াতের সফলতা দেখে গ্রামের অন্য বেকার শিক্ষিত যুবকরা মালটা বাগান তৈরি করতে আগ্রাহ দেখেচ্ছা। যুবকরা মালটা চাষ করলে গ্রামে বেকারত্ব হ্রাস পাবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান বলেন, দামুড়হুদায় মালটা চাষ হচ্ছে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখবো।

- www.dailynayadiganta.com

Comments

Popular posts from this blog

ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়?

কোন শাক-সবজি ও ফলের কী ভিটামিন?

গবাদি পশুর রোগ ও তার প্রতিকার

কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ

মুসলিম জীবনের আদব-কায়দা