Skip to main content

কম্পিউটার: মাদারবোর্ডের খুটিনাটি


কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বিষয় নিয়ে আমি পূর্বে কোন টিউন করিনি। তথাপি বর্তমানে অনেকেই আছেন যারা কম্পিউটার ক্রয় করবেন কিংবা কম্পিউটার ক্রয়ের বাজেট রেখেছেন। অথচ নিজে বুঝতে পারছেন কি ধরনের পিসি ক্রয় করবেন এবং তাতে কোন জাতীয় হার্ডওয়্যার ভাল হবে কিংবা কোন জাতীয় ব্যান্ড পচ্ছন্দ করবেন তাদের জন্য কিছুটা হলেও গাইড লাইন হিসাবে কাজ করবে বলে মনে করি।

সুতরাং হার্ডওয়্যার বিষয়ক পর্ব হিসাবে প্রথমে আজকের শুরুতে থাকবে মার্ডারবোড সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে যেমনঃ কোন মার্ডারবোর্ড টি ভাল, কি সুবিধা-অসুবিধা বিদ্যামান, বাজার রেট, কোন ব্যান্ড ভাল, ওয়ারেন্টি কত দিনের, প্রতিষ্ঠিত অনুমোদিত ভেন্ডর কারা ইত্যাদি বিষয়গুলো। ব্যাস! অনেক কথা বলা হল এবার টিউনের মূল আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি। প্রথমেই জেনে নিই মাডার বোর্ড সংক্রান্ত বিষয়াবলী।

মাদারবোর্ড কি?
কম্পিউটারের ভেতরে, কম্পিউটারের বহিরাংশ বা বক্স যাকে কম্পিউটারের কেসিং বলা হয় তাতে সংযুক্ত হালকা সবুজ সিলিকনের উপর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যুক্ত বোর্ডকে মাডার বোর্ড বলা হয়। মা যেমন তাঁর শিশুকে বুকের মধ্য আগলে রাখেন, ঠিক তেমনি মাডার বোর্ড অন্যান্য যন্ত্রাংশ সমষ্টিকে তার বুকের মধ্য আগলে রাখে। মাডারবোর্ডে যে সকল যন্ত্রাংশ গুলো থাকে Processor, Ram, Rom, Rechargeable Battery, Expansion Slot, Key board-Mouse conector. তবে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে এটিকে লজিকবোর্ড বলা হয়। মাদারবোর্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করা হয়। সাধারণ ডেস্কটপ কম্পিউটারে মাদারবোর্ডের সাথে মাইক্রোপ্রসেসর,প্রধান মেমরি ও কম্পিউটারের অন্যান্য অপরিহার্য অংশযুক্ত থাকে। অন্যান্য অংশের মধ্যে আছে শব্দ ও ভিডিও নিয়ন্ত্রক, অতিরিক্ত তথ্যভান্ডার, বিভিন্ন প্লাগইন কার্ড যেমন ল্যান কার্ড ইত্যাদি। কি-বোর্ড,মাউসসহ সব ইনপুট/আউটপুট যন্ত্রাংশও মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে। নিচের চিত্রটি দেখলেই বুঝতে পারবেন-


প্রস্তুত কারক কোম্পানী কর্তৃক মাদারবোর্ডের প্রকারভেদ

মূলত মাডারবোর্ড গুলো প্রস্তুত হয়ে থাকে প্রসসরের বেইজ কিংবা সকেট কেন্দ্রিক। জেনারেশনের সাথে তাল মিলিয়ে একে 1st Generation, 2ndGeneration বলে আখ্যায়িত করা হয়। তথাপি জেনারেশনের সাথে সাথে মাডারবোর্ড প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠানও তাদের আপডেট পরিবর্তন করছে, নিত্য নতুন প্রযুক্তি যোগ করে চমক সৃষ্টি করছে। উদাহরন হিসাবে বলিঃ ৯০ দশক তথা ১৯৯৭-২০০৩ পর্যন্ত যারা মাডারবোর্ড ব্যবহার করেছেন বিশেষত ইন্টেল বেইজের সেখানে পিনযুক্ত মাডার বোর্ড ব্যবহার করেছেন। অর্থাত তখন প্রসেসরে সুঁচের মত পিন থাকত। পরবর্তীতে বর্তমানে ইন্টেলের ব্যবহৃত প্রসসরে কাঁটা/সূঁচ নাই। যদিও এমএমডি প্রসসরে তা বিদ্যমান। অবশ্য প্রসসরের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে পরের কোন পর্বে আলোচনা করব। যে কথা বলতে ছিলাম প্রসসরের আপগ্রেডের পরিবর্তনের সাথে সাথে মাডারবোর্ডের সকেটও পরিবর্তন হয়। যারা ইন্টেল প্রসেসর সমর্থিত মাডার বোর্ড ব্যবহার করেন সেখানে Socket এ-LGA কথাটি উল্লেখ থাকে। যেমনঃ 1st & 2nd Generation এ- আমরা ব্যবহার করেছি LGA 775, 778, 1156, 1366 ইত্যাদি। যারা পূরাতন পিসি ব্যবহার করছেন কিংবা সেলস সাইট Bikroy dot com, ekhanei সাইটে দেখবেন যে পূরাতন মাডারবোর্ড সেলসের জন্য বিজ্ঞাপন করা হয়েছে তার ৯৫% ই- এই পূরাতন সকেটের সমর্থিত মাডারবোর্ড গুলো। তথাপি সকেট পরিবর্তসের সাথে অন্য যন্ত্রাংশ যেমন Ram, Rom এর পরিবর্তন ঘটছে। নিচে ইন্টেলের পূরাতন প্রসেসর সমর্থিত মাডারবোর্ডের সকেটের চিত্র-
অপরদিকে ইন্টেল ব্যতিত আরেকটি কোম্পানী প্রসেসর নির্মানে খ্যাতি পেয়েছে ও বর্তমানে ইন্টেলের প্রতিদ্বন্দী তাহলে AMD(Advanced Micro Devices)। তাদেরও জেনেরেশনের সাথে আপডেট করতে হয়েছে যেমন তাদের পূর্বের সকেট গুলো হচ্ছে AM, AM+ AM2, AM2+, FM, FM1, AM3 ইত্যাদি ২য় ও ৩য় জেনারেশনের ছিল। AMD এর পূরাতন প্রসেসর সমর্থিত মাডারবোর্ডের সকেটের চিত্র-
সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে জনপ্রিয় দুটি কোম্পানী তথা Intel ও AMD প্লাটফর্ম বেজের প্রসেসর সমর্থিত মাডার বোর্ড গুলো বেশী ব্যবহৃত হচ্ছে।

বর্তমান প্রজন্মের মাদারবোর্ড গুলোতে যে সকেটগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে
বর্তমানে মাডার বোর্ড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ৪র্থ ও ৫ম প্রজন্ম হিসাবে প্রসেসর সমর্থিত সকেটের মাডারবোর্ড বাজারজাত করছে। আমাদের দেশেও পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য ক্রয়ের সময় প্রতিষ্ঠানকে জিজ্ঞাসা করলেই বুঝতেই পারবেন। তাছাড়া মাডারবোর্ডের প্যাকেটে এই বিষয়টা লেখা থাকে। ৪র্থ ও ৫ম প্রজন্মের ইন্টেল প্রসেসর সমর্থিত আধুনিক সকেটের বোর্ড গুলো হচ্ছে LGA 1150, LGA 1151, LGA 1366, LGA 2011 ইত্যাদি। অপরদিকে AMD সমর্থিত সকেটগুলো হচ্ছে AM3+, FM+, FX, FX+ ইত্যাদি। আশা করি সকেট সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

মাদারবোর্ড ক্রয়ের সময় যে বিষয় গুলো প্রয়োজনীয় কিংবা জানতে হবে?

মেইনবোর্ড যেনো প্রসেসর সমর্থিত হয়।
RAM এর ধরন। মেইনবোর্ডে RAM এর স্লট যেরকম হবে, সেই ধরনেরই RAM কিনতে হবে। সর্বাধুনিক RAM টাইপ হল DDR3।
USB Port এর version কত ও পোর্ট সংখ্যাটা কত? সর্বাধুনিক হল USB 3.0। [USB 3.0 পোর্ট বিশিষ্ট মেইনবোর্ড এর দাম কিছুটা বেশি]
বর্তমানে সব মেইনবোর্ডেই LAN Card (Local Area Network Card) থাকে। তাছাড়া, HD audio এবং HD Video ও লক্ষ্য করা যায়। Integrated Graphics এর মান বেশি হলে ভালো হয়।
মাডারবোর্ডটি কোন ব্যান্ডের?ওয়ারেন্টি কত দিনের?
কোন ধরনের/জেনারেশনের প্রসেসর সমর্থন করে ও বোর্ডের বাস স্পীড কত?কতটি র‌্যাম সকেট রয়েছে? বায়োস আপডেট ভার্সন কত?
পরিশেষে মাডারবোর্ডের প্যাকেট ইনটেক কিনা তাও যাচাই করে নিতে হবে।

আপনি কি ধরনের মাদারবোর্ড ক্রয় করবেন?
বিষয়টা আপনার তারপরেও কিছু বিষয় আছে। এই জন্য আপনার কাজের উপযোগী মোতাবেক মাডারবোর্ড নির্বাচন করাটা ভাল। আপনি কাজ করবেন সাধারন কিংবা ঘরোয়া পদ্ধতির কিন্তু বোর্ড/প্রসেসর সিলেকশন করলেন অতি দামী। তাহলে বিষয়টা অনেকটা বোকামি পর্যায়ে যাবে। আপনি যদি সাধারন মানের ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন যেমনঃ কম্পিউটার শিখবেন কিংবা শিখছেন, গান, মুভি দেখবেন, মাঝারি মানের গেম খেলবেন, অফিসিয়ালি কাজ করবেন তাহলে ভাল মানের মাঝারি দামের মধ্য বোর্ড নির্বাচন করতে পারেন। এখানে বোর্ডের প্রসেসর হিসাবে ডুয়াল কোর, কোর আই থ্রি, সমর্থিত প্রসেসর বোর্ড আপনার জন্য উপযুক্ত। এই ক্ষেত্রে ৪২০০-৬০০০৳ বাজেট রাখতে পারেন। তথাপি উচ্চমান গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশনের জন্য আরেকটু হাই কোয়ালিটির জন্য দাম ধরতে পারেন প্রায় ৬৫০০-১০,০০ টাকার মধ্য। যারা সার্ভার হিসাবে বোর্ড ব্যবহার করবেন সেখানে ২০০০০ টাকার উপর বোর্ডের বাজেট রাখা ভাল। সার্ভার বোর্ডের প্রসেসর হিসাবে ইন্টেল জিয়ন নামকরা। অবশ্য আপনি শুধু বোর্ড কিনলেন অতি দামের আর সব সস্তার। তাহলে পারফরম্যান্সের হেরফের হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছ নই। যেহেতু বাজারে সকল মাডারবোর্ডের কম বেশী প্রায় ১ বছরের ওয়ারেন্টি থাকে।

আমার অভিজ্ঞতাতে দেখেছি ভাল ব্যান্ডের একটু বেশী দাম দিয়ে যদি বোর্ড ক্রয় করা যায় তাহলে ভাগ্য ভাল থাকলে ৩ বছরও চলে যেতে পারে। এই জন্য বাজারে ১ ম ভার্সন হিসাবে যে বোর্ডটি আসে সেটি একটু দাম বেশী হলেও ক্রয় করা ভাল। কারন, ১ম হিসাবে যেটি মার্কেটে আসে সেটি কোম্পানী রেপুটেশন ভাল পাবার জন্য সেইভাবেই প্রস্তুত কনে। অতপর পূরাতন হয়ে গেলে আপগ্রেডের পরবর্তী ভার্সন ভালো নাও হতে পারে।

এই জন্য শুধু আপগ্রেডের দিকে চোখ রাখলেও হবে না। বুঝার সুবিধার্থে একটি উদাহরন প্রয়োগ করছি-

মনে করি আপনি কোন একটি কোম্পানীর গেমিং বোর্ড ক্রয় করতে যাবেন সেই হিসাবে মডেল ধরি GA Z-170X –Gaming G1. সেখানে বোর্ডটির দাম দোকারদার চাচ্ছে ৪,৫০০ টাকার মত। কিন্তু আরেকটি মডেলের সেটির দাম ৬,৫০০ টাকা। সুতরাং নতুন ভার্সন হিসাবে ৬,৫০০ টাকা মধ্য ক্রয় করাটা ভাল। কারন, আমাদের দেশের অনেকেই টাকা বাঁচানোর জন্য ৩৫০০-৪৫০০ টাকার মধ্য মাডারবোর্ড ক্রয়ের বাজেট শেষ করি। তথাপি স্বল্প দামের যে হার্ডওয়্যার গুলো পাওয়া যায় তার ব্যবহারবিধি বেশী হলেও রিপ্লেস সংখ্যাটাও কম নই। আশা করি বিষয়গুলো অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছেন।

কোন ব্যান্ডের মাদারবোর্ড গুলো ভাল?
হুম কঠিন একটি প্রশ্ন! উপরের আলোচনাতে বলেছিলাম প্রসেসর সমর্থিত দুটি কোম্পানীর বেজে (AMD, Intel) বিভিন্ন কোম্পানীগুলো মাডারবোর্ড প্রস্তুত করে থাকে। পূর্বে ইন্টেল ব্যান্ড হিসাবে নিজেরাই মাডারবোর্ড বাজারজাত করত। বর্তমানে বন্ধ রেখেছে তবে ইউরোপ, আমেরিকার কিছু জায়গাতে চালাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকের অভিমত অন্যদের মত সস্তাতে ইন্টেল মাডারবোর্ড দিতে পারবেনা এবং তাদের রেপুটেশন নষ্ট করতে চাই না বলেই সম্ভাবত এশিয়াতে তা বন্ধ রেখেছে। আরেকটি বিষয় আমরা ইন্টেল মাডারবোর্ড হিসাবে যে নামে চিনতাম সেটি প্রস্তুত করত ফক্সকন নামে একটি কোম্পানী। যাইহোক ইন্টেল ব্যতিত বর্তমানে বেশ কয়েকটি কোম্পানী রয়েছে যারা বিশ্বখ্যাত, মাডারবোর্ড প্রস্তুতকরনে এ রেটিং এ- আছে। তারা হল-Asus, Gigabyte, MSI, Asrock অন্যতম। এদের বোর্ডের দামও কিছুটা হলেও বেশী।












এর পরের অবস্থানে আছে Biostar, ECS, Mercury, Foxconn। এবং বাজারে আরো শত রকম নামের বোর্ড রয়েছে তবে তার অধিকাংশই নন ব্যান্ডের চাইনা হতে অর্ডারকৃত নামের। আপনার যদি ২-৩ কোটি টাকা থাকে তাহলে আপনিও আপনার নামে মাডারবোর্ড ছাড়তে পারবেন। তাই বোর্ড ক্রয়ের সময় অরজিনাল ব্যান্ড দেখে ক্রয় করাটা ভাল। এখানে ব্যক্তিগতভাবে আমার সবচেয়ে ভাল লাগে ও বিশ্ব জরিপে এগিয়ে আছে তাহলো Asus, Gigabyte কোম্পানী। দুটি প্রতিষ্ঠানই অসংখ্যক পুরস্কার ও খ্যাতি পেয়েছি। দুটি প্রতিষ্ঠানই ভিন্ন আঙ্গিকে, ডিজাইনের বোর্ড তৈরির চেষ্টা করে। যেমনঃ প্রথম পেন্টেড বাজারে ডুয়াল বায়োস সুবিধা মাডারবোর্ড এনেছিল গিগাবাইট। ডুয়াল প্রসেসর সমর্থিত বোর্ড এনছিল আসুস। তারা প্রতিনিয়তই প্রযুক্তিগত আপডেট করছে।

(বিঃদ্রঃ Asus, Gigabyte সহ যত কোম্পানী রয়েছে মূলত প্রসেসর যুক্ত চিপ তারা AMD, Intel হতে সরবরাহ করে থাকে।

কোম্পানীগুলো যে সব প্রযুক্তি আপডেট করছে তাদের মাডারবোর্ড গুলোতে
বিশ্বখ্যাত মার্ডারবোর্ড প্রতিষ্ঠান Asus, Gigabyte, MSI, Asrock তাদের মাডারবোর্ড গুলোতে যে প্রযুক্তি সংযোগ করছে তা নিম্নরুপঃ

Xpress Recovery2 Introduction:

এই টেকনোলজীর মাধ্যমে আপনার অপারেটিং সিস্টেম ক্রাশ করলে কিংবা ডিলেট হয়ে গেলে পূনরায় রিস্টোর করা যাবে এমনকি প্রয়োজনে ব্যাকআপ রাখা যাবে।


Q-flash bios:
বায়োস পদ্ধতির এটি একটি অভিনব পদ্ধতি। এমনিতেই বায়োস আপডেট করা হয়েছে। তথাপি বায়োসের তথ্য গুলো আপনার পেন ড্রাইভ কিংবা মেমোরি কার্ডে সংরক্ষন করা যাবে। কোন ক্রমে বায়োস ক্রাশ করলে মেমোরি কার্ড হতেই রিস্টোর করা যাবে।
Ultra Durable 3:
এখানেও আধুনিক টেকের সমন্বয় প্রকাশ করা হয়েছে। পূর্বের তুলনায় মাডার বোর্ডে অনেক যন্ত্রাংশ যেমন- ক্যাপাসিটর, রেজিঃ সংখ্যা কমানো হয়েছে এবং যা ব্যবহার করা হচ্ছে তা প্রভূত উন্নতি করা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় সবাই কমবেশী সলিড ক্যাটাসিটর, ফেরিট কোর, মসফেট ব্যবহার করছে। যেখানে উল্লেখ থাকছে ক্যাটাসিটর গুলোর আয়ুকাল প্রায় ৫০,০০০ ঘন্টা এবং অধিক তাপমাত্রাতেও পিসির কোন ক্ষতি হবেনা, ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা হলেও তা চলতে থাকবে।
Dynamic Energy Saver:
এই পদ্ধতিতে আপনার মাডারবোর্ডকে ক্লকিং স্পীডে মুড করতে পারবেন। বিভিন্ন যন্ত্রাংশের তাপমাত্রা জানতে পারবেন ও কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনা যাবে। তথাপি বোর্ডগুলোতে বর্তমানে ROHS পদ্ধতির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। বর্তমানে মাডারবোর্ডের সংযোগ হতে আপনার মোবাইল জাতীয় ডিভাইসগুলো চার্জ দেওয়া যাবে।

Dual BIOS:



AMD ও Intel সর্মিথত প্রসেসরের মধ্য কোন মাদার বোর্ড ব্যবহার করবেন?
অাসলে AMD ও Intel হল দুটি মেরু। যেখানে ২ রকম সুবিধা বিদ্যমান। আমাদের উপ-মহাদেশ সহ এশিয়া মহাদেশে Intel অনেক জনপ্রিয়। সেই হিসাবে AMD কিছুটা হলেও নতুন। উপরন্তু ইউরোপ- আমেরিকা মহাদেশে AMD এর জয় জয়কার অনেকটা বেশী। তবে আমাদের Intel হতে AMD এর সমর্থিত প্রসেসরের দাম অনেকটা সাশ্রয়ী, বিশেষ করে বিল্টইন গ্রাফিক্স কার্ডের পারফরম্যন্স অনেক বেশী এবং তারাই ১ম থ্রিডি বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছিল তাদের প্রসেসরে। মনে করা হয়, বিশেষত তাদের মার্কেট সম্প্রসারন ও পন্যের গুনাগত মান বুঝানোর জন্য তাদের প্রসরের দাম অনেকটা কম। একটি উদাহরন হিসাবে বলিঃ যেখানে ইন্টেলের কোর আই-৭, ৪ মেগাবাইট ক্যাশ বিশিষ্ট প্রসরের দাম প্রায় ২০,০০০৳। সেখানে আপনি এরুপ সমমানের ৪ কোর বিশিষ্ট AMD প্রসেসর পাবে প্রায় ১০,০০০ টাকাতে যেখানে ক্যাশ মেমোরি প্রায় ৮ এমবি।
তথাপি গেমিং পারফরম্যান্স এর জন্য AMD প্রসেসরের কোন তুলনাই হয়না। তবে AMD বেইজ যুক্ত প্রসেসর/মাডারবোর্ড গুলো অতিরিক্ত তাপ তৈরি করে যাতে মনে হয় বোর্ডের ক্যাপাসিটরগুলো বোধ হয় উড়ে যাবে। অপরদিকে Intel এর এই সব বালাই নাই। সব Cool & Silent. ব্যক্তিগতভাবে দুটো কোম্পানীরই ব্যবহার করার সুবিধা হয়েছে। তবে মনে হয়েছে কি কারনে যেন তাপ বেশী হলেও এমএমডির গতি বেশী। যাইহোক আমার কথা শুনে হয়ত Intel অনুগামীরা খ্যাতে যেতে পারেন। এখানে মূলত আমি তর্কের জন্য আসি নাই, বিষয় গুলো শেয়ার করতে এসেছি। এবং মূল কথা হল আপনি যেটিই ক্রয় করুন না কেন তা ব্যান্ড দেখে ক্রয় করাটা ভাল।

http://www.techtunes.com.bd/hardware/tune-id/444200
http://www.techtunes.com.bd/hardware/tune-id/444375

Comments

Popular posts from this blog

ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়?

কোন শাক-সবজি ও ফলের কী ভিটামিন?

গবাদি পশুর রোগ ও তার প্রতিকার

কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ

মুসলিম জীবনের আদব-কায়দা