Skip to main content

বাংলাদেশের বন্যার ইতিহাস ১৭৮১ - ২০১৬



বন্যা (Flood) তুলনামূলকভাবে পানির উচ্চ প্রবাহ, যা কোন নদীর প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম তীর অতিক্রম করে ধাবিত হয়। তীর ছাড়িয়ে পানি আশপাশের সমভূমি প্লাবিত করলে সাধারণত জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্লাবনভূমি যেহেতু মানুষের কাঙ্খিত ও কৃষিকাজের সহায়ক, তাই বন্যাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা ও এর ক্ষয়ক্ষতি যাতে সীমা ছাড়িয়ে না যায় তা লক্ষ্য করা জরুরী।

প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিমি অঞ্চল অর্থাৎ ১৮ শতাংশ ভূখন্ড বন্যা কবলিত হয়। ব্যাপকভাবে বন্যা হলে সমগ্র দেশের ৫৫ শতাংশের অধিক ভূখন্ড বন্যার প্রকোপে পড়ে। প্রতিবছর গড়ে বাংলাদেশে তিনটি প্রধান নদীপথে মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আর্দ্র মৌসুমে ৮৪৪,০০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হয়। বাৎসরিক মোট প্রবাহের এটি ৯৫ শতাংশ। তুলনায় একই সময় দেশের অভ্যন্তরে ১৮৭,০০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার নদী প্রবাহ সৃষ্টি হয় বৃষ্টিজনিত কারণে।

বাংলাদেশে বন্যার সংজ্ঞা স্বতন্ত্র। বর্ষাকালে যখন নদী, খাল, বিল, হাওর ও নিচু এলাকা ছাড়িয়ে সমস্ত জনপদ পানিতে ভেসে যায় এবং ফসল, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, সহায়-সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে, তখন তাকে বন্যা বলে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বন্যার সঙ্গে ফসলের একটা সম্পর্ক রয়েছে।

ক) মৌসুমি বন্যা (monsoon flood) - এই বন্যা ঋতুগত, নদনদীর পানি ধীরে ধীরে উঠানামা করে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে;
খ) আকস্মিক বন্যা (flash flood) - আকস্মিক পাহাড়ি ঢল অথবা স্বল্প সময়ে সংঘটিত প্রবল বৃষ্টিপাত থেকে কিংবা প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট বাঁধ ভেঙে সংঘটিত হয়; এবং
গ) জোয়ারসৃষ্ট বন্যা (tidal flood): সংক্ষিপ্ত স্থিতিকাল বিশিষ্ট এই বন্যার উচ্চতা সাধারণত ৩ থেকে ৬ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং ভূভাগের নিষ্কাশন প্রণালীকে আবদ্ধ করে ফেলে।

বাংলাদেশের বন্যার ইতিহাস:
বাংলাদেশের বড় বন্যার ইতিহাস দেশটির ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রতি শতাব্দীতে বঙ্গীয় বদ্বীপ  প্রায় অর্ধডজন বন্যার মুখে পড়েছে, ব্যাপকতায় যা ১৯৮৮ সালের প্রলয়ংকরী বন্যার প্রায় সমান। বাংলাদেশের এই মৌসুমি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা  মহাভারত,  রামায়ণ ও অন্যান্য গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের (৩২১-২৯৬ খ্রি পূ) শাসনামলে তাঁর অর্থমন্ত্রী কৌটিল্য রচিত  অর্থশাস্ত্রে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের পরিসংখ্যান উল্লেখ রয়েছে যাতে প্রমাণিত হয় যে, বৃষ্টিপাতের হিসাব সম্পর্কে তাঁদের ধারণা ছিল।

বাংলাদেশে বন্যা একটি পুনঃপুনঃ সংঘটিত ঘটনা। ১৭৮৭ থেকে ১৮৩০ পর্যন্ত সংঘটিত পুনরাবৃত্ত বন্যায় ব্রহ্মপুত্রের পুরানো গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যায়। ১৯২২ সালে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রলয়ংকরী এক বন্যার পর একটি বন্যা কমিটি গঠিত হয়। এছাড়াও উত্তরবঙ্গে ১৮৭০ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বন্যার উপরে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।

অষ্টাদশ শতকের শেষপাদ থেকে এই অঞ্চলে বড় ধরনের মৌসুমি বন্যার ইতিহাস কালানুযায়ী নিচে দেখানো হলো:

বন্যার কালক্রম:

১৭৮১ ব্যাপক বন্যা বিশেষ করে সিলেটের পশ্চিমাঞ্চলে। খাদ্যের অভাবে গবাদি পশুর ভোগান্তি ঘটে।

১৭৮৬ মেঘনার বানে তীরবর্তী গ্রামের ফসল ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। এর প্রকোপে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে বাকেরগঞ্জে ব্যাপক প্রাণহানি। ত্রিপুরায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যায়। সিলেট পরগনা সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে যায়। গবাদি পশু প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

১৭৯৪ গোমতী বাঁধে আবার ভাঙ্গন ও ত্রিপুরার চারপাশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।

১৮২২ বাকেরগঞ্জ বিভাগ ও পটুয়াখালি মহকুমা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত; ৩৯,৯৪০ ব্যক্তি ও ১৯০০০ গবাদিপশু মারা যায় এবং ১৩ কোটি টাকা মূল্যের সহায়সম্পদ ধ্বংস হয়। বরিশাল, ভোলা ও মনপুরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ।

১৮২৫ বাকেরগঞ্জ ও এর আশপাশে বিধ্বংসী বন্যা। জেলাটিতে কোন গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ বা অন্য কোন ধরনের বন্যা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ছিল না।

১৮৩৮ ভারি বর্ষণে রাজশাহী ও আরও কিছু জেলা ব্যাপকভাবে প্লাবিত। গোসম্পদ খাদ্যের অভাবে বিপর্যস্ত, নিমজ্জিত অঞ্চল ছেড়ে উঁঁচু স্থানের খোঁজে জনগণের ব্যাপক দুর্ভোগ। পানি নেমে যাওয়ার পর মহামারী আকারে কলেরার বিস্তার।

১৮৫৩ ভারি স্থানীয় বর্ষণ ও মেঘনা নদীর তীর ছাপানোর কারণে সিলেটের পশ্চিম অংশে প্রতিবছরের চেয়ে বেশি প্লাবন।

১৮৬৪ বাঁধ ভেঙ্গে গঙ্গার পানিতে রাজশাহী শহরের বৃহত্তর অংশ গভীর পানির তলে। বহুলোকের দুর্ভোগ ও গোসম্পদের ক্ষতি।

১৮৬৫ ব্যাপক প্লাবনে রাজশাহী শহর ক্ষতিগ্রস্ত। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে রাজশাহী শহর বিপর্যস্ত।

১৮৬৭ বিধ্বংসী বন্যার কবলে বাকেরগঞ্জ। শস্যের ব্যাপক ক্ষতি।

১৮৬৯ ১৮৬৭-র অবস্থা।

১৮৭১ রাজশাহী ও আরও কিছু জেলায় ব্যাপক বন্যা। শস্য, গবাদি পশু ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিষপত্রের ক্ষতি। রাজশাহীতে রেকর্ডকৃত এ যাবৎকালের সবচেয়ে ভয়ংকর বন্যা।

১৮৭৬ বরিশাল ও পটুয়াখালী দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। মেঘনা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬.৭১ মিটার স্ফীত হয়ে গলাচিপা ও বাউফল ব্যাপক ক্ষতির মুখে। ২,১৫০০০ লোকের জীবনহানি। বন্যার অব্যবহিত পরে কলেরার প্রাদুর্ভাব।

১৮৭৯ ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ পরিবর্তন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে তিস্তায় বান।

১৮৮৫ ভাগীরথী নদী বরাবর বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ভয়াবহ বন্যার কবলে খুলনার সাতক্ষীরা মহকুমা।

১৮৯০ সাতক্ষীরা মহকুমায় আবার গুরুতর বন্যা এবং মানুষ ও গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতি।
১৯০০ ভাগীরথী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে আবার সাতক্ষীরা মহকুমা ক্ষতিগ্রস্ত।

১৯০২ সিলেটে নদীপৃষ্ঠ স্ফীত হয়ে প্রলয়ংকরী বন্যা। শস্য এবং মূল্যবান সম্পদের ক্ষতি।

১৯০৪ অস্বাভাবিক উঁচু জোয়ারে কক্সবাজার মহকুমা ও কুতুবদিয়া দ্বীপের কিছু অংশে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত।

১৯১৫ ময়মনসিংহে তীব্র বন্যা। ১৮৫৯ সালে ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ পরিবর্তন হেতু তিস্তা নদীর যে বন্যা হয়েছিল তার সঙ্গে-এ বছরের বন্যার ক্ষয়ক্ষতির তুলনা চলে।

১৯২২ এই বন্যাকে উত্তরবঙ্গের বন্যা বলা হয়েছে। উজানে রেলওয়ে বাধ নির্মাণের কারণে এই বন্যা সংঘটিত হয়েছিল বলে জানা যায়।[১]

১৯৫২ আগস্ট ঢাকা শহর পানির তলে নিমজ্জিত। ১ আগস্ট সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৪.২২ মি এবং ৩০ আগস্ট হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে গঙ্গা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৪.৯১ মি।

১৯৫৫ ঢাকা জেলার ৩০% এলাকা প্লাবিত। বুড়িগঙ্গা ১৯৫৪ সালের সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে যায়।

১৯৬২ দুইবার বন্যার পদধ্বনি। একবার জুলাই ও আরেকবার আগষ্ট-সেপ্টেম্বর। বহুলোক আক্রান্ত ও মূল্যবান সম্পত্তি বিনষ্ট।

১৯৬৬ ঢাকা জেলার অন্যতম প্রলয়ংকরী বন্যাটি হয় ৮ জুন ১৯৬৬। এ বছর সিলেট জেলাতেও বড় ধরনের বন্যা দেখা দেয়। বন্যা ছাড়াও ১৯৬৬ সালের ১২ জুন সকালে এক প্রচন্ড ঝড়ে জেলার পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে ওঠে। এতে প্রায় ২৫% ঘরবাড়ি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ৩৯ ব্যক্তি ও ১০০০০ গবাদি পশু মারা যায় এবং প্রায় ১২ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর ৫২ ঘণ্টা একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে ঢাকা শহর প্রায় ১২ ঘণ্টা ১.৮৩ মিটার পানির তলে নিমজ্জিত ছিল।

১৯৬৮ সিলেটে ভয়াবহ বন্যা এবং প্রায় ৭ লক্ষ লোক দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

১৯৬৯ চট্টগ্রাম জেলা বন্যার কবলে। শস্য এবং মূল্যবান সম্পদের ক্ষতি।

১৯৭৪ ময়মনসিংহে প্রায় ১০,৩৬০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল বন্যা কবলিত। মানুষ ও গবাদি সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি ও লক্ষলক্ষ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত।

১৯৮৭ জুলাই-আগস্ট মাসে বন্যায় বড় ধরনের বিপর্যয়। প্রায় ৫৭,৩০০ বর্গ কিমি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত (সমগ্র দেশের ৪০% এরও অধিক এলাকা)। এ ধরনের বন্যা ৩০-৭০ বছরে একবার ঘটে। দেশের ভিতরে এবং বাইরে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতই বন্যার প্রধান কারণ ছিল। ব্রহ্মপুত্রের পশ্চিমাঞ্চল, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র একীভূত হওয়ার নিচের অঞ্চল, খুলনার উল্টরাংশ এবং মেঘালয় পাহাড়ের সংলগ্ন অঞ্চল বন্যা কবলিত হয়।

১৯৮৮ আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় ভয়ংকর বিপর্যয়। প্রায় ৮২,০০০ বর্গ কিমি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত (সমগ্র দেশের ৬০% এরও অধিক এলাকা)। এ ধরনের বন্যা ৫০-১০০ বছরে একবার ঘটে। বৃষ্টিপাত এবং একই সময়ে (তিন দিনের মধ্যে) দেশের তিনটি প্রধান নদীর প্রবাহ একই সময় ঘটার (ংুহপযৎড়হরুব) ফলে বন্যার আরও ব্যাপ্তি ঘটে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরও প্লাবিত হয়। বন্যা স্থায়িত্ব ছিল ১৫ থেকে ২০ দিন।

১৯৮৯ সিলেট, সিরাজগঞ্জ ও মৌলভীবাজার এলাকায় বন্যায় ৬ লক্ষ লোক পানিবন্দী।

১৯৯৩ সারা দেশে প্রচন্ড বৃষ্টিতে হাজার হাজার হেক্টর জমির শস্য পানিতে তলিয়ে যায়। মোট ২৮ জেলা বন্যা কবলিত হয়।

১৯৯৮ এই বন্যা হয় আগস্ট মাসে। এতে  ৬৮ শতাংশ এলাকার ১ লাখ ২৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়। বন্যার ব্যাপ্তি অনুযায়ী এটি ১৯৮৮ সালের বন্যার সাথে তুলনীয়। ব্যাপক বৃষ্টিপাত, একই সময়ে দেশের তিনটি প্রধান নদীর প্রবাহ ঘটার ফলে ও ব্যাক ওয়াটার এ্যাফেক্টের কারণে এই বন্যা ঘটে।

২০০০ ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ৫টি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা বন্যায় বিধ্বস্ত। প্রায় ৩০ লক্ষ লোক গৃহহ্লীন। বন্যাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মাটির বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ঘটে।

২০০৪ সালে বন্যা হয় জুলাই মাসে। এতে বাংলাদেশের ৩৮ শতাংশ এলাকার ৫৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়।[২]

২০০৭ এই বন্যাকে “২০০৭ এর মহাবন্যা” বলা হয়। ২০০৭ সালের বন্যা হয় সেপ্টেম্বর মাসে। এতে দেশের ৪২ শতাংশ এলাকার ৬২ হাজার ৩০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়।

২০১৩   সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার তথ্য অনুযায়ী ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৭টি জেলা এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়।ভারত থেকে আসা প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বাংলাদেশে এই বন্যা সংঘটিত হয়।

২০১৬  এই বন্যাকে ১৯৮৮ সালের বন্যার পর সবচেয়ে বড় বন্যা বলা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৮শে জুলাই যমুনার পানি বিপদসীমার ১২১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর প্রভাবে জামালপুরের নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চল তলিয়ে যায়।সরকারি হিসেবেই ৩৪ লাখের বেশি । মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[৩]

Comments

  1. I don't even know how I ended up here, but I thought this post was great. I don't know who you are but definitely you are going to a famous blogger if you aren't already ;) Cheers! yahoo login mail

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়?

কোন শাক-সবজি ও ফলের কী ভিটামিন?

গবাদি পশুর রোগ ও তার প্রতিকার

কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ

মুসলিম জীবনের আদব-কায়দা