ব্লগ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায়ই হিজাব নিয়ে বা হিজাবের ধরণ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলে। আমরা অনেকেই “বলি এই হিজাব হিজাব না” “এই হিজাব মানে পর্দা না” কটাক্ষ করে বলি “হিগাবি আপু” “লোক দেখানো হিজাব” “নতুন ফ্যাশন” “এইসব যদি করো তাহলে হিজাব করার কি দরকার” “হিজাব করে আবার প্রেমও করে” ইত্যাদি ইত্যাদি
ইসলাম ও ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট বা ইসলামী জীবন অনুশীলন শুরু করা কারো উদ্দেশ্যে আমাদের এই ধরণের কটাক্ষ কতটা যুক্তিযুক্ত? আমাদের এই মানসিকতা ইসলামী শিক্ষার সাথে কতটা মানানসই? ইসলাম কী বলে-
১.ইসলাম বিশ্বাস ও আমলের সমন্বয়। কারও বিশ্বাসে ঘাটতি থাকতে পারে, কারও আমলে ঘাটতি থাকতে পারে, কারও দুটোতেই। আমরা কেউই এই গ্যারান্টি দিতে পারিনা যে আমার ঈমান শতভাগ ঠিক আছে, অথবা আমার আমল শতভাগ নিখাঁদ। তাই অন্য কারো সামান্য একটু আমল বা আমলের চেষ্টাকেও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার সুযোগ নেই। একজন শুধু হিজাব পরছে, আজ তার যে অবস্থা আগামীতে ঈমান আমলে সে আমার আপনার চেয়েও যে এগিয়ে যাবেনা, তা কি বলতে পারেন?
আবু রুকাইয়াহ তামিম ইবনু আওস আদ-দারী (রা:) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- দ্বীন হচ্ছে উপদেশ।
আমরা বললাম, কার জন্য? তিনি বলেন: আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসুলের জন্য, মুসলিমদের নেতা এবং সমস্ত মুসলিমদের জন্য।
[ সহীহ মুসলিমঃ ৫৫]
আমাদের ভাবা উচিত, আমরা কি নসিহত (সদুপদেশ) দিচ্ছি নাকি তিরষ্কার করছি?
নসিহত আর তিরস্কারের মধ্যে পার্থক্য হল, নসিহত হল সে উপদেশ যেখানে উপদেশ যাকে দেয়া হচ্ছে তার প্রতি শুভকামনা, দয়া আর সহমর্মিতা থাকে, আর সেই উপদেশদাতা কামনা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আর তার সৃষ্টির কল্যাণ। তাই সে চরম বিনয়ী হয় এবং নিজেকে প্রস্তুত করে ক্ষতি কিংবা অপবাদের গ্লানির জন্যও।
অপর দিকে যে তিরস্কার করে সে সন্মুখ সমরেই সবকিছু বলে আর অপদস্থ করে। সে যাকে তিরস্কার করছে সে ব্যক্তিকে খাট করতে চায় এবং উপদেশের নামে মূলত অভিশাপ দেয় এবং হতাশ করে।
২. হিজাব ছাড়া বা অশ্লীল পোশাক যেখানে খারাপ পরিস্থিতি বা পরিবেশ তৈরি করে। সেক্ষেত্রে হিজাব পড়া তো অবশ্যই একটা ভালো এবং মার্জিত পরিবেশ সৃষ্টি করে। হিজাব যেমনই হোক, যে নিয়তেই হোক সেটা পুরুষের চোখের জন্য নিরাপদ নয় কি?
কেউ লোক দেখানো হিজাব করেছে, নাকি ঈমানের সাথে হিজাব করেছে, বা কারো হিজাব কতটুকু ইসলামসম্মত হয়েছে এই নিয়ে বিতর্ক বা প্রশ্ন আমরা অহরহই তুলি অথচ আমরা কেউই নিজেদের ঈমান আমলের বিশুদ্ধতার গ্যারান্টি দিতে পারিনা। আমরা কারো বুক ফেড়ে দেখতে পারিনা সে কতটুকু ঈমানের অধিকারী, কিন্তু ঠিকই উপহাস করি।
এ ব্যাপারে একটি হাদীস উল্লেখ করা যায়-
সাহাবীদের একটি দল কোন এক অঞ্চলে পরিদর্শনের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে এক রাখাল ছাগল চরাচ্ছিল। মুসলিমদেরকে দেখে রাখাল সালাম করল এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ঘোষণা করল। তা সত্বেও সাহাবাদের কেউ কেউ মনে করলেন যে, সে একজন কাফের, প্রাণের ভয়ে এখন নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দিচ্ছে। এই ভেবে তাকে হত্যা করে ফেলল এবং তার ছাগলগুলো হস্তগত করে রাসূল (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হল। নবী করীম (সাঃ) তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি তার বুক চিরে দেখেছো সে সত্যিকারের ঈমানদার ছিল কিনা? তিনি আরও বললেন পূর্বে তোমরাও মক্কায় এই রাখালের মত নিজেদের ঈমানকে গোপন করতে বাধ্য ছিলে। (সহীহ বুখারী, দিয়াত অধ্যায়ঃ)
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সূরা নিসার এই আয়াত নাযিল হয়।
হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা যখন আল্লাহর পথে বের হবে, তখন তদন্ত করে নাও। আর কেউ তোমাদেরকে সালাম জানালে তাকে বলো না যে, তুমি বিশ্বাসী নও। ইহজীবনের সম্পদ চাইলে আল্লাহর কাছে গনীমত প্রচুর রয়েছে। তোমরা তো পূর্বে এরূপই ছিলে, অতঃপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। সুতরাং তোমরা পরীক্ষা করে নাও। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।
সূরাতুন নিসা -৯৪, সহীহ বুখারী, তিরমিযী তাফসীর অংশ)
কুরআনে আরও এসেছে-
‘যে ব্যক্তি একটি অণু পরিমাণ ভালো কাজ করলো সে সেটির প্রতিদান পাবে। আর যে অনু পরিমাণ খারাপ কাজ করবে সে তারও প্রতিদান পাবে। সূরা যিলযাল:৭
৩.ইসলামের শুরু সহমর্মিতা ও উৎসাহের মধ্য দিয়ে:
ইসলাম প্রচার শুরু হয়েছে ভালো আচরণ ও উৎসাহ প্রদানের মধ্য দিয়ে। যে যেটুকুই করুক উৎসাহ না দিয়ে কটাক্ষ করে নিরুৎসাহিত করা কোনোভাবেই মুমিনের কাজ নয়। কেউ হিজাব পড়ে কোনো ছেলের হাত ধরে হাটতেছে নাকি গালে রং মেখে ১লা বৈশাখ পালনে গেছে এমন অবস্থাতেও “এসব যদি করো হিজাব পরার কি দরকার ছিল” এ ধরণের টিটকারি যুক্তিসঙ্গত নয়। ইসলাম গ্রহণ করেনি কিন্তু হিজাব পড়ে এমন অমুসলিমও তো আছে আমেরিকা ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়াতে। এখন আমার আপনার মত কেউ আমেরিকার রাস্তায় যদি তাদের কাউকে কটাক্ষ করি অবস্থাটা কি দাড়াবে? ইসলাম সম্পর্কে তাদের মনে কি ধারণা জন্মাবে ভেবে দেখেছেন?
৪.একটা মেয়ে হঠাৎ একদিন হিজাব পরা শুরু করল এখন আপনি যদি বলেন “অ্যাঁ, ওর আবার হিজাব!” এতে আপনার আমার সম্পর্কে এমনকি ইসলাম থেকেও কি তাকে নিরুৎসাহিত করা হলনা? কেউ ইসলাম পালন শুরু করেছে এই সময় তার কিছু কাজ/অভ্যাস আপনার উল্টোপাল্টা লাগতেই পারে, তাই বলে কি তাকে কটাক্ষ করবেন? এও হতে পারে ঈমানে সে আপনার আমার চেয়ে এগিয়ে আছে অথবা একদিন এগিয়ে যাবে। কিন্তু আপনার কটাক্ষ তাকে বিভ্রান্ত করে দিতে পারে নিমেষেই। এর দায় কিন্ত আপনাকেই নিতে হবে। কেউ অসম্পূর্ণভাবে কোনো আমল করছে আপনি তাকে আরও ভালোভাবে পালনের উৎসাহ দিতে পারেন, কিন্তু নিরুৎসাহিত করতে পারেন না। আমি কল্পনাও করতে পারিনা আমাদের মত মানসিকতার ঈমানদারদের পাল্লায় পড়লে পাশ্চাত্যে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের অবস্থা কতটা করুণ হত!
৫. “হিজাবও পড়ে আবার এসবও করে” “হিজাবও পড়ে আবার প্রেমও করে” ইত্যাদি বলার সুযোগ কোথায়?
ইসলাম শিক্ষা দেয়, যে যেটুকু করছে তাকে করতে দিন। পারলে উৎসাহ দিন হয়তো সে একদিন পুরোপুরি আমল শুরু করবে, খারাপ কাজটা বাদ দিয়ে দেবে, এ প্রসঙ্গে একটা হাদীস আছে-
জনৈক সাহাবী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে হাজির হয়ে আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক সাহবী নামায পড়ে আবার চুরিও করে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তাকে ছেড়ে দাও সে যদি নামায পড়ে তাহলে অতিসত্ত্বর সে চুরি ছেড়ে দেবে। সত্যি সত্যি কিছুদিন পর সেই সাহাবী এসে বললেন, ইয়া রাসূল্লাল্লাহ! সে চুরি ছেড়ে দিয়েছে।
(এই হাদীসটা অনেক আগে পড়েছিলাম, গ্রন্থের সোর্স মনে নেই, ইন্টারনেটে এভাবে পেলাম http://www.peaceinislam.com/mas7777/10421 আপনাদের কারও হাদীসগ্রন্থের নাম অধ্যায় বা হাদীস নং জানা থাকলে অনুগ্রহ করে কমেন্টে জানাবেন)
আমরা অনেকেই বলি, “এটা হিজাবের নামে ফাজলামি” “এরা হিজাবের নামে ইসলামের ক্ষতি করছে” তো আপনি বলুন ইসলামের পোশাক আশাক ভালোভাবে পড়ে ইসলামের ক্ষতি করা মানুষের কি অভাব আছে পৃথিবীতে? তাদের কতজনের ক্ষতি আপনি প্রতিহত করতে পেরেছেন?
৬. দ্বীন আমল ও সংস্কৃতি:
আমাদের সমাজের মানুষেরা যে যেমনই হোক দুই ঈদের নামাযে তারা কিন্তু ঠিকই যায়, কুরবানীও করে, অসংখ্য লোক আছে যারা শুধু জুময়ার নামায পড়ে। আমরা কিন্তু তাদেরকে নিষেধ করিনা, কটাক্ষও করিনা যে তুমি তো ৫ ওয়াক্ত নামায পড়োনা জুময়ার নামাযে কেন আসছো? ৫ ওয়াক্ত নামায পড়তে না পারলেও দুই ঈদ জুময়া বা জানাযার নামাযের ব্যাপারে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবাই জানে এটাই ইসলামের নিয়ম, মুসলিমদের এসব করতে হয়, এভাবে এটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এটা আমাদের আমল এবং একই সাথে আমাদের সংস্কৃতিও হয়ে গেছে।
আমাদের সমাজের সব লোক যদি নামায পড়া শুরু করতো তাদের দেখাদেখি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে নামায পড়ার সংস্কৃতি চালু হয়ে যেত। এখানে কে লোক দেখানো নামায পড়লো আর কে আন্তরিকভাবে নামায পড়লো ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সেটা দেখার বিষয় হত না।
হিজাবও তেমনি ইসলামী সংস্কৃতি, যেকোনোভাবে হোক এর প্রভাব ইতিবাচক। এক সময় হিজাবের এত প্রচলন শহরাঞ্চলে ছিলনা। অনেকে শুধুমাত্র আযান শুনে মাথায় ওড়নাটা টেনে দিতো। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে এটা বাড়ছে এবং পরবর্তী প্রজন্মও অবশ্যই এটা দেখবে অনুসরণ করবে এবং এটাকে ইসলামী নিয়ম ও সংস্কৃতির অংশ মনে করবে। এভাবে হিজাব সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। বলতে পারেন কোনো সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার পথ এমনই। এখানে আপনি বলতে পারেন এই হিজাব পুরোপুরি ইসলামসম্মত হয়নি, সেক্ষেত্রে সংশোধনের পরামর্শ দিতে পারেন কিন্তু নিষেধাজ্ঞা নয়।
ইসলামী ব্যাংকিং সম্পর্কে আমাদের মানসিকতাও এরকম
পুরোপুরি সূদভিত্তিক একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ইসলামী ব্যাংকিংয়ের চেষ্টা করাও যেখানে কঠিন, সেই অবস্থাতে ইসলামী ব্যাংকে সূদ আছে কিনা কতটুকু আছে এটা খুচিয়ে বের করতে আমরা ব্যস্ত । প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার বদলে যেটুকু ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেটুকুও বন্ধ করে দিতে পারলে যেন আমরা বাঁচি। কোনো কিছু প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান না রাখতে পারলেও দোষগুলো খুঁচিয়ে বের করতে বা নিরুৎসাহিত করতে আমাদের জুড়ি নেই।
ইসলামের কথা বলার ব্যাপারে যেমনটি ঘটে:
শার্ট প্যান্ট পড়া কেউ নামায পড়লে আমরা খুশী হই, অমুসলিমদের মুখে ইসলামের গুণগাণ শুনে আপ্লুত হই, কিন্তু শার্ট প্যান্ট পড়া কেউ যদি ইসলামের কথা বলে আমরা বিরোধিতা করি, “অমুকে আর কী বলবে, সে তো পাঞ্জাবি পড়েনা” তার তো মুখে দাঁড়ি নেই, যে পাঞ্জাবি টুপি পড়েনা তার দাওয়াতি কাজ করার কোনো অধিকার নেই, সে তো অমুক মাদরাসায় পড়েনি সে কেন কোরআন হাদীসের কথা বলবে? তার তো অমুক ডিগ্রি/টাইটেল নাই সে কেন ইসলামী কথা বলবে। এমন সব কথা অহরহই শোনা যায়। অনেক আলেমের মুখেও এমন কথা শোনা যায় যেটা দুঃখজনক!
নির্দিষ্ট কিছু লোক, নির্দিষ্ট মাদরাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ব্যক্তিরাই শুধু ইসলামের কথা বলবে ফতোয়া দেবে, তারা ছাড়া অন্যরা যতই জ্ঞান অর্জন করুক, কথা বলতে পারবেনা,দাওয়াতি কাজ করতে পারবেনা, এমন সীমানা কে বেঁধে দিয়েছে? এই মানসিকতা আর ব্রাহ্মন্যবাদী মানসিকতার পার্থক্য কোথায়?
অথচ আমাদের আলেমসমাজের কাজ হল কাউকে থামিয়ে দেয়ার বদলে সঠিক পথ বাতলে দেয়া। আজ ভালো কাজ করতে চাইলে আগ্রহী ব্যক্তিকে তার সীমাবদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে থামিয়ে দেয়া হয়। তার আন্তরিক কাজের ভুলত্রুটিগুলোকে বড় করে প্রচার করা হয়। সঠিক গাইডলাইন দিয়ে কাজে লাগানোর বদলে কাফের মুরতাদ ফতোয়া দিয়ে চিরতরে মুখ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। বই পুস্তক লিখে ঘৃণা ছড়ানো হয়। ইসলাম এমন ছিল কবে?
আজকের দিনেও শুধু হিজাব পালনের কারণে ইউরোপে চাকরি চলে যায়, ইসলাম পালনের কারণে নানা অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়। ভারতে মুসলমানদেরকে জয়শ্রীরাম, জয়মাতারা ইত্যাদি বলতে বাধ্য করা হয়, হামলা করা হয়, কুপিয়ে বা পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। সে হিসেবে ইসলামের প্রয়োজনে আমাদের ত্যাগ বা অবদান কতটুকু?
ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রতিটি পদক্ষেপে, প্রতিটি উদ্যোগে. প্রতিটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় আমাদের সমর্থন করা, উৎসাহ দেয়া এবং সাহস যোগানো কর্তব্য। নিজেদের আমল বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যদেরকে আমলে কিংবা অনুশীলনে উৎসাহিত করার বদলে বিতর্ক কুতর্ক করার মত এত সময় আমরা পাই কিভাবে? নিজেদের জং ধরা চরকায় আমরা কবে তেল দেয়া শুরু করবো?
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিদায়াত দিন। তাওফিক দিন। আমিন।।
Comments
Post a Comment