Skip to main content

দারসুল কুরআন: সুরা ইখলাস





সুরা ইখলাসের নামকরণঃ

শিরক থেকে মুক্ত হয়ে ‘তাওহীদ’ বা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী হওয়াকে ‘ইখলাস’ বলা হয়। যে ব্যক্তি এই সুরা শিক্ষা করবে, তার প্রতি ঈমান আনবে, সে শিরক থেকে মুক্তি লাভ করবে এবং খাঁটি তাওহীদবাদী হয়ে আল্লাহর মুখলিস বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। এইজন্য এই সুরাটির নাম রাখা হয়েছে সুরাতুল ইখলাস।


সুরা ইখলাস নাযিল হওয়ার সময়ঃ
এটি একটি ‘মাক্কী সুরা’, অর্থাৎ আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের মদীনাতে হিজতের পূর্বে, মক্কার জীবনেই অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ এই সুরাটি নাযিল হয়েছিলো।

সুরা ইখলাস নাযিল হওয়ার শানে নুযূলঃ
ক্বুরআনুল কারীম নাযিল হওয়ার যুগে ইয়াহুদীরা বলতো, “আমরা আল্লাহর পুত্র ওযায়ের আ’লাইহিস সালামের উপাসনা করি। আর খ্রীস্টানরা বলতো আমরা আল্লাহর পুত্র ঈসা আ’লাইহিস সালামের উপাসনা করি। মাজূসী বা যারা আগুনের পূজা করতো তারা বলতো, আমরা চন্দ্র-সূর্যের পূজা করি। আর মুশরিকরা লাত, মানাত, ওযযা সহ বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি পূজা করতো। দেখা যাচ্ছে, তখনকার যুগের মুশরেকরা পূর্ব যুগের অলি-আওলিয়াদেরকে ‘দেবতা’ বানিয়ে পূজা করতো আর আহলে কিতাবী যারা (ইয়াহুদী এবং খ্রীস্টানরা) নবী-রাসূলদেরকে ‘আল্লাহর পুত্র’ বানিয়ে তাদের পূজা করতো। যেহেতু তারা মানুষ ছিলেন, দেখা যেত যে যার পূজা করতো সে তার দেবতার বংশ-পরিচয় স্বরণ রাখতো এবং এনিয়ে অন্যদের সাথে গর্ব এবং অহংকার করতো। এমতাবস্থায় রাসুলুল্ললাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম সমস্ত দেব-দেবী এবং মিথ্যা মাবূদের পূজাকে অমার্জনীয় অপরাধ ‘শিরক’ ঘোষণা করে ‘তাওহীদ’ বা এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে দাওয়াত দেন। মক্কার মুশরিকরা একদিন তাদের পূর্বের স্বভাব মতো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল, “হে মুহাম্মাদ! আমাদের কাছে তোমার রব্বের বংশধারা বর্ণনা করো।” তখন আল্লাহ তাআ’লা সুরা ইখলাস নাযিল করে বুঝিয়ে দিলেন যে, আল্লাহ তাআ’লার কোন বংশধারা নেই। কারণ তিনি এক, একক এবং অদ্বিতীয়। জন্ম নেওয়া, সন্তান জন্ম দেওয়া বা বংশধারার সাথে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। তিনি কারো থেকে জন্ম গ্রহণ করেন নি এবং তাঁর থেকেও কেউ জন্মলাভ করেনি। সুতরাং আল্লাহর বংশধারা নিয়ে প্রশ্নই আসতে পারেনা।

অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে যে, মদীনার ইহুদিরা এ প্রশ্ন করেছিল। কোন কোন রেওয়ায়েতে আছে যে, তারা আরও প্রশ্ন করেছিলঃ আল্লাহ্‌ তাআলা কিসের তৈরি, স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জওয়াবে সূরাটি অবতীর্ণ হয়েছে ৷

বিষয়বস্তু :
আল্লাহ স্বীয় সত্তা ও গুণাবলীতে একক ও অনন্য এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই- সেকথাই আলোচিত হয়েছে পুরা সূরাটিতে।

সুরা ইখলাসের ফযীলতঃ
(১) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এটা ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” সহীহ মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।

(২) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়তে পারনা?” প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে এই কাজ কে করতে পারবে”? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহা’দ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” সহীহ বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫।

(৩) এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসুল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি।” তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।” বুখারীর ৭৭৪, তিরমিযীঃ ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪

(৪) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হবে।” সহীহ আল-জামি আস-সগীরঃ ৬৪৭২।

(৫) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে সুরা ইখলাস তেলাওয়াত করতে শুনলেন। তিনি বললেন “এটা তার অধিকার।” সাহাবারা জিজ্ঞাস করলেন, “তার অধিকার কি?” তিনি উত্তর দিলেন, “তার অধিকার হচ্ছে জান্নাত।” মুসনাদে আহমাদঃ ৭৬৬৯।

*দিনে রাতে যতবার ইচ্ছা, বেশি বেশি করে সুরা ইখলাস পড়া যাবে।

আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মিসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। - (ইবনে-কাসীর)

ওকবা ইবনে আমের (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সূরা বলছি, যা তওরাত, ইঞ্জীল, যবুর ও কোরআনসহ সব কিতাবেই রয়েছে। রাত্রিতে তোমরা ততক্ষণ নিদ্রা যেয়োনা, যতক্ষণ সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। ওকবা (রাঃ) বলেনঃ সেদিন থেকে আমি কখনও এই আমল ছাড়িনি।
 (ইবনে কাসীর)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবীব (রাঃ) বর্ণনা করেন, এক রাত্রিতে বৃষ্টি ও ভীষণ অন্ধকার ছিল। আমরা রসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে খুঁজতে বের হলাম। যখন তাঁকে পেলাম, তখন প্রথমেই তিনি বললেনঃ বল। আমি আরয করলাম, কী বলব? তিনি বললেনঃ সূরা এখলাস ও কূল আউযু সূরাদ্বয়। সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো তিন বার পাঠ করলে তুমি প্রত্যেক কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। - (মাযহারী)

ইমাম কুরতুবী বলেন, কোন কোন বিদ্বান বলেছেন, ‘সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান মূলতঃ ‘ছামাদ’ নামটির কারণে। কেননা এ নামটি কুরআনের অন্য কোথাও নেই। অনুরূপভাবে ‘আহাদ’ নামটিও’।

আরও বলা হয়েছে যে, কুরআন তিনভাগে নাযিল হয়েছে। একভাগে ‘আহকাম’ (الأحكام) তথা আদেশ-নিষেধসমূহ। একভাগে জান্নাতের সুসংবাদ ও জাহান্নামের দুঃসংবাদসমূহ (الوعد والوعيد) এবং অন্যভাগে আল্লাহর নাম ও গুণসমূহ (الأسماء والصفات)। শেষোক্ত ভাগটি একত্রিত হয়েছে অত্র সূরাতে’। ইমাম কুরতুবী বলেন, এ ব্যাখ্যাটি সমর্থিত হয় ছহীহ মুসলিমে বর্ণিত অপর একটি হাদীছ দ্বারা। যেমন-

(২) হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إِنَّ اللهَ جَزَّأَ الْقُرْآنَ ثَلاَثَةَ أَجْزَاءٍ فَجَعَلَ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ جُزْءًا مِنْ أَجْزَاءِ الْقُرْآنِ - ‘আল্লাহ কুরআনকে তিনভাগে ভাগ করেছেন। অতঃপর এ সূরাটিকে একটি ভাগে পরিণত করেছেন’। মুসলিম হা/৮১১; আহমাদ হা/২৭৫৩৮।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সঙ্গে যাচ্ছিলাম। এমন সময় তিনি একজনকে সূরা ইখলাছ পাঠ করতে শুনে বললেন, وَجَبَتْ ‘ওয়াজিব হয়ে গেল’। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কি ওয়াজিব হ’ল? তিনি বললেন, ‘জান্নাত’। তিরমিযী হা/২৮৯৭, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২১৬০।

গুরুত্ব :
পবিত্র কুরআন মূলতঃ তিনটি বিষয়ে বিভক্ত। তাওহীদ, আহকাম ও নছীহত। সূরা ইখলাছে ‘তাওহীদ’ পূর্ণভাবে থাকার কারণে তা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের মর্যাদা পেয়েছে। এর অর্থ এটা নয় যে, সূরাটি তিনবার পাঠ করলেই পুরা কুরআন পাঠ করা হয়ে গেল বা তার সমান নেকী পাওয়া গেল। এই সূরা যে ব্যক্তি বুঝে পাঠ করে, তার হৃদয় আল্লাহর নাম ও গুণাবলী বিষয়ে শিরকী চিন্তাধারা থেকে খালেছ ও পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ কারণেই এ সূরার নাম ‘ইখলাছ’ বা শুদ্ধিকরণ রাখা হয়েছে এবং এ কারণে এ সূরার গুরুত্ব সর্বাধিক।

সুরা ইখলাসের সরল তর্জমাঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

বলুন, তিনি আল্লাহ, এক ও অদ্বিতীয়,

اللَّهُ الصَّمَدُ

আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, বরং সকলেই তাঁর মুখেপেক্ষী

لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ

তিনি কাউকে জন্ম দেন নি, তাঁকেও কেউ জন্ম দেয় নাই।


وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।


তাফসীর :

(১) قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ ‘বল, তিনি আল্লাহ এক’।

هُوَ মর্যাদা বোধক সর্বনাম (ضمير الشأن) মুবতাদা, اللهُ ১ম খবর এবং أَحَدٌ ২য় খবর। শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনার ক্ষেত্রে ‘আহাদ’ শব্দটি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারু ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা স্বীয় কর্মে ও গুণাবলীতে তিনি পূর্ণ (ইবনু কাছীর)।

বিভিন্ন ধর্মে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব স্বীকার ও স্বরুপ:

বিশ্বের সকল জ্ঞানী সমাজ ও ধর্মীয় সম্প্রদায় এ বিষয়ে একমত যে, সৃষ্টি জগতের অবশ্যই একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। কিন্তু মতভেদ কেবল এক্ষেত্রে যে, তিনি একাই সবকিছু করেন, না তাঁর কোন শরীক আছে?

ইসলাম ব্যতীত অন্য সকল ধর্মের লোকেরা আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করেছে। যেমন ইহুদীগণ ওযায়েরকে এবং নাছারাগণ ঈসাকে ‘আল্লাহর পুত্র’ বলেছে (তওবা ৯/৩০)।

ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী নাছারাগণ আল্লাহকে ‘তিন উপাস্যের একজন’ বলেছে (মায়েদাহ ৫/৭৩)।

অন্যদিকে ভারতীয় বহু ঈশ্বরবাদীদের তো ভগবানের সংখ্যাসীমা নেই।

তিনি লা-ছানী ও লা-শরীক:

এইসব অযৌক্তিক ও কাল্পনিক কথার জবাব অত্র আয়াতে আল্লাহ ছোট্ট একটি শব্দে দিয়েছেন- ‘আহাদ’ তিনি ‘এক’। ‘ওয়াহেদ’ ও ‘আহাদ’ দু’টি শব্দেরই অর্থ ‘এক’। তবে পার্থক্য এই যে, ওয়াহেদ-এর ‘ছানী’ বা দ্বিতীয় রয়েছে। কিন্তু আহাদ-এর কোন ছানী বা দ্বিতীয় নেই। তিনি লা-ছানী ও লা-শরীক। এ নামে একাধিক সত্তার কোন সম্ভাবনাই নেই।

আল্লাহর একক হুকুমেই সৃষ্টিজগত পরিচালিত:
আল্লাহর ‘আহাদ’নামটি কুরআনের অন্য কোথাও নেই কেবল এ সূরাতেই রয়েছে, এভাবে আল্লাহ আহাদ শব্দটিকেও ২য় হওয়া থেকে রোধ করেছেন। এতে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহর একক হুকুমেই সৃষ্টিজগত পরিচালিত হয়। এতে অন্যের কোন অংশীদারিত্ব নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। বান্দাকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাই বলেন, إِنَّنِيْ أَنَا اللهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنَا فَاعْبُدْنِيْ وَأَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِيْ- ‘নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ। আমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তুমি আমার ইবাদত কর এবং আমাকে স্মরণ করার জন্য ছালাত কায়েম কর’ (ত্বোয়াহা ২০/১৪)।

একাধিক উপাস্যের অযৌক্তিকতা: আল্লাহ বলেন

لَوْ كَانَ فِيهِمَا آلِهَةٌ إِلَّا اللَّهُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ

যদি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ে (ঝগড়া বিবাদ সংঘর্ষ করে) ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র। সুরা আম্বিয়া ২২

বিধান দেওয়ার ক্ষমতা একক আল্লাহরই:

مَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِهِ إِلاَّ أَسْمَاءً سَمَّيْتُمُوْهَا أَنْتُمْ وَآبَآؤُكُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ بِهَا مِنْ سُلْطَانٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلاَّ ِللهِ أَمَرَ أَلاَّ تَعْبُدُوا إِلاَّ إِيَّاهُ ذَلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ وَلَـكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لاَ يَعْلَمُوْنَ-

‘তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে নিছক কিছু নামের উপাসনা করে থাক। যেসব নাম তোমরা ও তোমাদের বাপ-দাদারা সাব্যস্ত করে নিয়েছে। আল্লাহ এ সবের কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। বস্ত্ততঃ বিধান দেওয়ার ক্ষমতা কারু নেই আল্লাহ ব্যতীত। তিনি আদেশ করেছেন যে, তোমরা কারু ইবাদত করো না তাঁকে ব্যতীত। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানেনা’ (ইউসুফ ১২/৪০)।

বান্দার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল আল্লাহ
আয়াতে ‘আল্লাহ’ ও ‘আহাদ’ দু’টি নামকে পাশাপাশি উল্লেখ করার মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে যে, আল্লাহ হ’লেন সকল পূর্ণতা গুণের সমষ্টি (مجمع صفات الكمال)। অর্থাৎ বান্দার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হ’লেন আল্লাহ। তিনি ব্যতীত অন্য কারু কাছে চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই বা তাদের দেওয়ারও কোন ক্ষমতা নেই।

আল্লাহর কোনো সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই:

পাশাপাশি ‘আহাদ’ নামটি উল্লেখ করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে যে, তিনি হ’লেন সকল পরাক্রম গুণের সমষ্টি (مجمع صفات الجلال)। অর্থাৎ পৃথিবীতে যিনি যত বড় ক্ষমতাধর হৌন না কেন, কেউ একা কিছু করতে পারেন না অন্যের সাহায্য ব্যতীত। পক্ষান্তরে আল্লাহ এমনই এক প্রতাপান্বিত সত্তা, যার কোন পরামর্শদাতা বা সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই। তিনি একাই সবকিছু করেন। إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئاً أَنْ يَّقُوْلَ لَهُ كُنْ فَيَكُوْنُ ‘তাঁর কাজ এমনই যে, যখনই তিনি কিছু ইচ্ছা করেন, বলেন হও, তখনি হয়ে যায়’ (ইয়াসীন ৩৬/৮২)।

গণতন্ত্র বা রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব:
গণতন্ত্র বা রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব আল্লাহর সর্বোচ্চ ক্ষমতাকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে না। আল্লাহর নাযিলকৃত কোন বিধানকে লংঘন, পরিবর্তন বা বাতিল করতে পারে না। তাই এটাকে সার্বভৌমত্ব বলা হলেও প্রকৃত অর্থে সার্বভৌমত্ব নয়। রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী হতে পারেনা কারণ এই রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের গণ্ডি খুবই সীমিত । গণতন্ত্রে রাষ্ট্রকে সার্বভৌম বলা হলেও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চাইলেই আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করতে পারে। এক্ষেত্রেও গণতন্ত্র ও আল্লাহর সার্বভৌমত্বের কোনো দ্বন্দ্ব হয় না।

(২) اَللهُ الصَّمَدُ ‘আল্লাহ মুখাপেক্ষীতাহীন’।

صَمَدَ يَصْمِدُ صَمْدًا অর্থ قصد ‘সংকল্প করা’। সেখান থেকে الصَّمَدُ অর্থ الَّذِي يُصْمَدُ إِلَيْهِ فِي الْحَاجَاتِ ‘প্রয়োজনে যার মুখাপেক্ষী হ’তে হয়’। অথবা السَّيِّدُ الَّذِي يُصْمَدُ إِلَيْهِ فِي النَّوَازِلِ وَالْجَوَائِحِ ‘ঐ নেতা, যাকে কামনা করা হয় বিপদে ও কষ্টে’ (কুরতুবী)।

এখানে অর্থ المستغنى عن كل أحد والمحتاج إليه كل أحد ‘যিনি সকলের থেকে মুখাপেক্ষীহীন। অথচ সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী’ (ফাৎহুল ক্বাদীর)।

সুদ্দী বলেন, المقصود في الرغائب والمستعان به في المصائب ‘যিনি সকল সৎকর্মের উদ্দিষ্ট সত্তা এবং সকল বিপদে সাহায্য প্রার্থনার স্থল’ (কুরতুবী)।

আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘ছামাদ’ অর্থ الَّذِي يُصْمَدُ الْخَلاَئِقُ إِلَيْهِ فِي حَوَائِجِهِمْ وَمَسَائِلِهِمْ ‘সৃষ্টিজগত নিজেদের প্রয়োজনে ও সমস্যায় যার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে’ (ইবনু কাছীর)।

আল্লাহকে ‘ছামাদ’ বলা হয়েছে। কারণ তিনি স্বীয় গুণাবলীতে পূর্ণ এবং সমস্ত সৃষ্টিজগত তাঁর মুখাপেক্ষী। এটি একটি পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ বাক্য।

উল্লেখ্য যে, প্রথম আয়াতে বর্ণিত ‘আহাদ’-এর ন্যায় অত্র আয়াতে বর্ণিত ‘ছামাদ’ নামটিও মাত্র এখানেই এসেছে। কুরআনের অন্য কোথাও আনা হয়নি। একারণেই সূরা ইখলাছ আল্লাহর অনন্য নাম ও গুণাবলীর একত্র সমাহার। যেমন আল্লাহ বলেন,

وَمَا بِكُمْ مِّنْ نِّعْمَةٍ فَمِنَ اللهِ ثُمَّ إِذَا مَسَّكُمُ الضُّرُّ فَإِلَيْهِ تَجْأَرُوْنَ-

‘তোমাদের কাছে যেসব নে‘মত রয়েছে, তা আল্লাহরই পক্ষ হ’তে। অতঃপর যখন তোমরা কষ্টে পতিত হও, তখন তাঁর নিকটেই কান্নাকাটি করে থাক’ (নাহল ১৬/৫৩)। অর্থাৎ সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন।


এমনকি অবিশ্বাসীরাও বিপদে পড়লে মনে মনে ঈশ্বরকেই স্মরণ করতে বাধ্য হন।

(৩) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ‘তিনি (কাউকে) জন্ম দেননি এবং তিনি (কারও) জন্মিত নন’।


অর্থ ليس له ولد ولا والد ولا صاحبة ‘তাঁর কোন সন্তান নেই বা পিতা নেই বা কোন স্ত্রী নেই’(ইবনু কাছীর)।

জন্ম হওয়া ও জন্ম নেওয়ার বিষয়টি কেবল সৃষ্টিকুলের সাথে সংশ্লিষ্ট, যাদের পেট রয়েছে। অথচ আল্লাহর সত্তা এসব থেকে মুক্ত ও পবিত্র।

তিনি কারু উত্তরাধিকারী নন এবং কেউ তাঁর উত্তরাধিকারী নয়। যেমন আল্লাহ নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, بَدِيْعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنَّى يَكُوْنُ لَهُ وَلَدٌ وَلَمْ تَكُنْ لَّهُ صَاحِبَةٌ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ وهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ- ‘তিনিই আসমান ও যমীনের প্রথম সৃষ্টিকর্তা। কিভাবে তাঁর পুত্র সন্তান হবে? অথচ তাঁর কোন স্ত্রী নেই। আর তিনিই সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই সকল বিষয়ে অবহিত’ (আন‘আম ৬/১০১)। একই ধরনের বক্তব্য এসেছে সূরা বনু ইস্রাঈল ১৭/১১১, মারিয়াম ১৯/৮৮-৯২, আম্বিয়া ২১/২৬-২৭, ছাফফাত ৩৭/১৪৯-৫৪, ১৫৮-১৫৯, নাজম ৫৩/২১-২৩

তার পূত্র কিভাবে হবে তার তো স্ত্রী নেই। তাছাড়া পূত্রের দরকার কেন হবে আল্লাহর। মানুষের পূত্রের প্রয়োজন হয় তাকে সাহায্য করার জন্য, তার বংশ রক্ষার জন্য, তাকে বৃদ্ধ বয়সে ভরণপোষণের জন্য। আল্লাহর এসব কোনো সীমাবদ্ধতা নেই তার বংশ রক্ষার দরকার নেই কারণ তিনিই তো চিরস্থায়ী।

তার পিতা কিভাবে থাকবে কারণ সৃষ্টি তো তিনিই শুরু করেছেন। কেউ কি তার পিতাকে জন্ম দেয়? সেটার প্রয়োজনই বা কি যেখানে আল্লাহই সবকিছু করতে সক্ষম। بَدَعَ يَبْدَعُ بَدْعًا وَبِدْعًا وبِدْعَةً অর্থ ‘কোন কাজ প্রথম সৃষ্টি করা’। ‘নমুনা ছাড়াই কোন কাজ সৃষ্টি করা’। ‘অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়ন করা’ ইত্যাদি। আল্লাহ হ’লেন অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী। অতএব তিনি কারুর পিতা বা পুত্র হওয়ার প্রয়োজন নেই।

لَمْ يَلِدْ (তিনি কাউকে জন্ম দেননি) বলার মধ্যে তিনটি ভ্রান্ত দলের প্রতিবাদ করা হয়েছে। মুশরিক, ইহুদী ও নাছারা। মুশরিকরা ফেরেশতাদের ‘আল্লাহর কন্যা’ বলত (ইসরা ১৭/৪০)। ইহুদীরা ওযায়ের নবীকে ‘আল্লাহর বেটা’ বলত (তওবা ৯/৩০)। নাছারারা মসীহ ঈসাকে ‘আল্লাহর পুত্র’ বলত (তওবা ৯/৩০)। وَلَمْ يُولَدْ (এবং তিনি কারু জন্মিত নন) বলার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তিনিই আদি সৃষ্টিকর্তা। তাঁর পূর্বে কোন কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। যেমন আল্লাহ অন্যত্র বলেন, هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ ‘তিনিই আদি, তিনিই অন্ত। তিনি প্রকাশ্য, তিনি গোপন এবং তিনি সর্ব বিষয়ে অবগত’ (হাদীদ ৫৭/৩)।

(৪) وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُواً أَحَد ٌ ‘তাঁর সমতুল্য কেউ নেই’।

অর্থাৎ সত্তা ও গুণাবলীতে আল্লাহর সাথে তুলনীয় কিছুই নেই। যেমন আল্লাহ বলেন, لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيْعُ البَصِيْرُ ‘তাঁর অনুরূপ কিছুই নয়। তিনি সবকিছু শোনেন ও দেখেন’ (শূরা ৪২/১১)।

এতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর নিজস্ব আকার রয়েছে, যা কারু সাথে তুলনীয় নয়। দুনিয়াতে যেমন ক্যাসেট ও ভিডিও রেকর্ডার সবকিছু শোনে ও দেখে। তাদের নিজস্ব আকার আছে, কিন্তু তা মানুষের মত নয়। কুরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহর হাত, পা, চেহারা ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণিত হয়ছে (মায়েদাহ ৫/৬৪; ক্বলম ৬৮/৪২; বাক্বারাহ ২/১১৫)। কিন্তু তা কারু সাথে তুলনীয় নয়।

তার সমতুল্য কেউ/কিছু নেই এর মাধ্যমে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন মানুষ যেসব পদার্থ কল্পনা করে বা আল্লাহ কীসের তৈরি, সোনা রুপা, হীরা ইত্যাদি প্রশ্ন করে তাদের উত্তর দেয়া হয়েছে যে এরকম কোনোকিছুই তার সমতুল্য নয়।

জান্নাতে মুমিনগণ আল্লাহকে দেখতে পাবে। যেমন আল্লাহ বলেন, وُجُوْهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ، إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ ‘অনেক চেহারা সেদিন উজ্জ্বল হবে’। ‘তাদের প্রতিপালকের দিকে তারা তাকিয়ে থাকবে’ (ক্বিয়ামাহ ৭৫/২২-২৩)।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ عِيَانًا فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فَقَالَ إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لاَ تُضَامُّوْنَ فِى رُؤْيَتِهِ ‘তোমরা তোমাদের প্রভুকে স্পষ্ট দেখতে পাবে। অতঃপর তিনি পূর্ণিমার রাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, তোমরা সত্বর তোমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাবে, যেমন তোমরা এই চাঁদকে দেখতে পাচ্ছ, যা দেখায় তোমাদের কোন বাধা হবে না’। বুখারী হা/৫৫৪, মুসলিম হা/৬৩৩; মিশকাত হা/৫৬৫৫-৫৬ ‘ক্বিয়ামতের অবস্থা’ অধ্যায়-২৮।

কিন্তু অবিশ্বাসী ও কপট বিশ্বাসীরা এই দর্শন লাভের মহা সৌভাগ্য হ’তে বঞ্চিত হবে। যেমন আল্লাহ বলেন, كَلاَّ إِنَّهُمْ عَنْ رَبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَمَحْجُوْبُوْنَ ‘কখনোই না। অবশ্যই সেদিন তারা তাদের প্রভুর দর্শন থেকে বঞ্চিত হবে’ (মুত্বাফফেফীন ৮৩/১৫)।

আল্লাহ সবই শোনেন। কিন্তু তাঁর শ্রবণের বিষয়টি অন্য কারু সাথে তুলনীয় নয়। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল বিজ্ঞান কলেজের প্রফেসর উইলিয়াম প্রাণীজগতের শ্রবণেন্দ্রিয় সম্পর্কে গবেষণায় ডুব দিয়ে হঠাৎ বলে উঠলেন, He who planted ears, shall He not hear? ‘যিনি কান সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি নিজে শুনতে পান না?’

সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও দেখেন। তাঁর নিজস্ব সত্তা ও স্বরূপ আছে। যা মহান আল্লাহর সত্তার সাথে মানানসই ও তাঁর উপযুক্ত। যা অন্য কারু সাথে তুলনীয় নয়। তিনি বান্দার সকল ধারণা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। অতি যুক্তিবাদীরা তাঁর বিষয়ে নানা কথা বলেন। কিন্তু আল্লাহ বলেন, سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يَصِفُوْنَ ‘তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র’
(ছাফফাত ৩৭/১৫৯)।

অতএব যারা আল্লাহকে নিরাকার ও নির্গুণ সত্তা বলে থাকে, তা থেকে তিনি মুক্ত। যেমন আল্লাহ বলেন, سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ ‘তারা যা কিছু আরোপ করে, তা থেকে তোমার পালনকর্তা পবিত্র, যিনি সকল সম্মানের অধিকারী’
(ছাফফাত ৩৭/১৮০)

আল্লাহর পরিচয়, ইলাহ হওয়ার শর্ত:
ইলাহ চিনার ৪টি টিপস দিয়েছেন আল্লাহ। এখন আপনি যদি বিভিন্ন ধর্মের বাানোয়াট ঈশ্বর বা কল্পিত ঈশ্বরদের এর আওতায় ফেলেন বা এই মাপকাঠিতে বিচার করেন তাতে কী দাঁড়াবে?

  • খ্রিস্টানদের দাবি ঈসা আঃ আল্লাহর পুত্র ও ঈশ্বর
  • ইহুদীদের দাবি ওযায়ের আঃ আল্লাহর পুত্র
  • বৌদ্ধদের দাবি গৌতম বুদ্ধ ভগবান: যিনি নেপালের রূপান্দি জেলায় লুম্বিনী গ্রামে জন্ম নেন,খ্রিষ্পূর্ব ৪৮০/৫৬৩-৪০০ অব্দ পিতা-মাতা শুদ্ধোধন, মায়া
  • শিখদের গুরু নানক: পাকিস্তানে নানকানায় জন্ম, পিতামাতা: Mehta Kalu, Mata Tripta
  • জৈনদের মতে শ্রী রজনীশ ভগবান,যার জম্ম: ১৯৩১ রায়সেন, ভারত, পিতামাতা: Saraswati Jain, বাবুলাল
  • হিন্দুদের কৃষ্ণ, শিব, কার্তিক, লক্ষী, স্বরস্বতী, রাম ইত্যাদি যাদের সন্তান, স্বামী, স্ত্রী পিতামাতা সব রয়েছে বলা হয়।
সারকথা :
স্বীয় সত্তা ও গুণাবলীতে আল্লাহ একক ও তুলনাহীন- এই নির্ভেজাল তাওহীদ বিশ্বাসকে যাবতীয় শিরকের কালিমা হ’তে মুক্ত রাখার আহবানই হ’ল সূরা ইখলাছের সারকথা।

তাফসীরে মারেফুল কুরআন, মাযহারী, কুরতুবী

Comments

Popular posts from this blog

ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়?

কোন শাক-সবজি ও ফলের কী ভিটামিন?

গবাদি পশুর রোগ ও তার প্রতিকার

কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ

মুসলিম জীবনের আদব-কায়দা