করোনা প্রতিরোধে যা খাবেন, যা খাবেন না | Immunity booster Food
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সারাবিশ্বে মহামারির আকার ধারণ করেছে। কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত না হওয়ায় আমাদের সচেতনতা ও শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিই এখন এই ভাইরাস মোকাবিলায় সর্বশেষ উপায়।
শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাঁচ ধরনের
এগুলো হলো: ভিটামিন-এ, সি, ই, বিটা-ক্যারোটিন, লাইকোপেন, লুটেইন সেলেনিয়াম ইত্যাদি। এজন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ যে খাবারগুলো বেশি করে খেতে হবে যেমন—
শাকসবজি:
করলা (কোয়ারসেটিন, কেয়েমপফেরল, বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ),
বাঁধাকপি, বিট, ব্রকোলি, গাজর, টমেটো, মিষ্টি আলু, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি,
পালংশাকসহ সবুজ, বেগুনি, নীল, কমলা,ও হলুদ রঙের শাক-সবজি।
ফল: লেবু, কমলালেবু, পেঁপে, আঙুর, আম, কিউই, আনার, তরমুজ, বেরি, জলপাই, আনারস ইত্যাদি।
সিমের বিচি, মটরশুঁটি, বিচিজাতীয় খাবার, বার্লি, ওটস, লাল চাল ও আটা এবং বাদাম।
শাক-সবজি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার শরীরে নিউটোভ্যাক্স ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডি প্রক্রিয়াকে উন্নত করে,
যা স্টেপটোকোক্কাস নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সক্রিয় ভুমিকা রাখে।
আদা, রসুন, হলুদ, দারুচিনি, গোলমরিচ ইত্যাদিও রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে
টক দই (প্রোবায়োটিক), এটি শ্বাসযন্ত্র ও গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।
সবুজ চা (গ্রিন টি) ও ব্ল্যাক টিতে এল–থিয়ানিন ও ইজিসিজি নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে
ভিটামিন বি-৬, জিংক জাতীয় খাবার সামুদ্রিক খাবার ও দুধ ইত্যাদি বেশি খেতে হবে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভালো কাজ পেতে হলে শাকসবজি রান্নার সময় অতিরিক্ত তাপে বা দীর্ঘ সময় রান্না না করে
পরিমিত তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে।
এছাড়াও মধু, কালিজিরা, ঘি ও খেজুর রোগ প্রতিরোধে ভালো কাজ করে।
যা খাবেন না।
চিনি জাতীয় খাবার
প্রসেসড ফুড ও কেমিক্যালযুক্ত খাবার
কার্বনেটেড ড্রিংকস, বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, তামাক,
ঠান্ডা খাবার, যেমন আইসক্রিম,
সঠিক পুষ্টির চাহিদা পুরণ করে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারলে শুধু করোনা নয়,
আশাকরা যায় সব ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
সূত্র:
১. শামসুন্নাহার নাহিদ,
প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান,
পুষ্টিবিভাগ, বারডেম হাসপাতাল,
প্রথমআলো
২. ডা. জাহাঙ্গীর ,
জাগোনিউজ
ও অন্যান্য
Comments
Post a Comment